বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজোয় এবার অনুরাগীদের জন্য বড়সড় উপহার দিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। ছোট্ট ছেলে ঈশানকে নিয়ে আরো একবার ক্যামেরাবন্দি হলেন নুসরত যশ। এমনিতে ঈশানের দেখা পাওয়া কার্যত অমাবস্যার রাতে চাঁদ দেখার মতোই বিষয়। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছেলেকে শতহস্ত দূরে রাখেন নুসরত (Nusrat Jahan)। যশেরও নাকি এ বিষয়ে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে এ যাবত হাত গোনা কয়েক বারই ছেলেকে প্রকাশ্যে এনেছেন নুসরত। তার মধ্যে এটা অন্যতম। কিন্তু এবারেও নুসরত (Nusrat Jahan) রেহাই পেলেন না কটাক্ষ থেকে।
ঈশানের সঙ্গে ছবি শেয়ার নুসরতের (Nusrat Jahan)
নবমীর সন্ধ্যায় বাবা মায়ের মাঝে বসে ফ্রেমবন্দি হল ছোট্ট ঈশান। লাল সুতোর কাজ করা সাদা পাঞ্জাবি আর ধুতি পরে এক্কেবারে পুঁচকে বাঙালি বাবু। যশের পরনে রূপোলী সিক্যুইনের কাজ করা নীল পাঞ্জাবি আর চোস্ত। অন্যদিকে নুসরত (Nusrat Jahan) পরেছিলেন লাল শাড়ি। মা দুর্গার সামনে বসে হাসিমুখে পোজ দিলেন তিন জন। হ্যাপি ফ্যামিলি ফটো দেখে উচ্ছ্বসিত ‘যশরত’ ভক্তরাও।
আরো পড়ুন : পর্দার দুর্দান্ত খলনায়ক, শেষ জীবনে নিমু ভৌমিকের খোঁজও নেয়নি ইন্ডাস্ট্রি
যশের বড় ছেলেকে নিয়ে প্রশ্ন
অনেকেই এক বাক্যে বলেছেন, ‘এ তো ছোট্ট যশ!’ একজন লিখেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে দুজন যশ বসে আছেন’। আরেকজন লিখেছেন, ঈশানকে খুব মিষ্টি দেখতে হয়েছে। কিন্তু কয়েকজন আবার কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করেছেন, যশের বড় ছেলে কোথায়? উল্লেখ্য, অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের দুই ছেলে রিয়াংশ এবং ঈশান। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও রিয়াংশ যশের কাছেই থাকে বলে জানা যায়। কিন্তু বড় ছেলের সঙ্গে কখনোই দেখা যায় না নুসরতকে (Nusrat Jahan)। সৎ ছেলে বলেই কি অনীহা? প্রশ্ন তুলেছেন নিন্দুকরা। তবে কোনো পাত্তা দেননি নুসরত যশ।
আরো পড়ুন : পুজো প্রেমে শিলমোহর মধুমিতার, পুরনো বিয়ে ভুলে সুপুরুষ প্রেমিককে প্রকাশ্যে আনলেন নায়িকা
ছেলেদের প্রকাশ্যে আনেন না যশ
নুসরত (Nusrat Jahan) এর আগেই জানিয়েছিলেন, দুই ছেলের কাউকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আনা পছন্দ করেন না যশ। ঈশানের জন্মের আগেও রিয়াংশকে কখনো প্রকাশ্যে আনতেন না তিনি। তবে ঈশানের ছোট্টবেলায় একবার দুই ভাইয়ের একসঙ্গে ছবি শেয়ার করেছিলেন যশ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবারই দুর্গাপুজোয় হইহই করে অংশ নেন নুসরত। অষ্টমীর ভোগ খাওয়া থেকে দশমীর সিঁদুর খেলা সবেতেই থাকেন তিনি। নুসরতের (Nusrat Jahan) স্পষ্ট কথা, বিশ্বাস কোনো ধর্ম বা ভাষার উপরে নির্ভর করে না। এটা মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোনো ট্রোলিংকেই পাত্তা দেন না তিনি। কারণ নুসরতের মতে, প্রত্যেকের নিজস্ব জীবনযাপনের ধরণ রয়েছে।