বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় হাজির খুদে স্যান্টা। লাল সাদা পোশাকে সেজে উপহারের ঝুলি কাঁধে সবার জন্য একরাশ খুশি নিয়ে হাজির ছোট্ট স্যান্টাক্লজ। ভাবছেন এই খুদে স্যান্টা কে? সে হল ঈশান জাহান দাশগুপ্ত (yishaan)। নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও যশ দাশগুপ্তের (yash dasgupta) নয়ণের মণি, আদুরে ছেলে।
ছোট্ট ঈশানের জন্মের পর এটাই প্রথম ক্রিসমাস। দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে তাই কোনো কসুর বাদ রাখেননি মা নুসরত। বাড়ির ব্যালকনির এক কোণে রেখেছিলেন ক্রিসমাস ট্রি। ছোট্ট ঘন্টা, আলো দিয়ে সাজিয়েছিলেন সেটি। আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল গোটা ব্যালকনি।
তবে সবথেকে বেশি নজর কাড়ল ছোট্ট স্যান্টা। লাল সাদা স্যান্টাক্লজের পোশাক পরে, মাথায় টুপি পরে সাজসজ্জার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ঈশান। উত্তেজনায় মায়ের কোলে প্রায় উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছে সে। ছেলের মুখে হাসি দেখে উচ্ছ্বসিত নুসরতও। তবে ঈশানের মুখ দেখাননি তিনি। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এটা শুধুই কোনো মরসুম নয়। এটা একটা অনুভূতি। এই ক্রিসমাস সবার জন্য আনন্দ, শান্তি, আশা ও ভালবাসা নিয়ে আসুক। মেরি ক্রিসমাস।’ কমেন্টে নুসরতের এক সময়ের বোনুয়া মিমি চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘মিষ্টি’।
https://www.instagram.com/p/CX5XBVrv4dy/?utm_medium=copy_link
কিন্তু অন্য রকম সু্র শোনা গেল যশের ইনস্টা হ্যান্ডেলে। ইনস্টা স্টোরিতে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেই তিনি লিখেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সবকিছু দেখানো আর বলার জন্য উদগ্রীব করে তুলেছে। কিন্তু গোপনীয়তার মধ্যে সৌন্দর্য রয়েছে। সবকিছু দেখানোর জন্য নয়। নিজের জন্য কিছু রেখে দেওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক।’
উল্লেখ্য, নুসরত ছেলের ছবি শেয়ার করার পরেই নিজের ইনস্টা স্টোরিতে এই বক্তব্য পোস্ট করেন যশ। তাই দেখে অনেকেই মনে করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্যান্টার সাজে ঈশানের ছবি শেয়ার করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন যশ। তাই পরোক্ষে ‘স্ত্রী’র জন্যই এই বার্তা। যদিও দীপাবলীতে যশই ছেলের মুখ প্রথম বারের জন্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন। একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁর দুই ছেলেকে। নুসরত ঈশানের ছবি শেয়ার করলেও ছেলের মুখ দেখাননি।