বাংলাহান্ট ডেস্ক : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ অবলম্বনে মুক্তি পেয়েছে ‘ও অভাগী।’ অনির্বাণ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। গত ২৯ শে মার্চ বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ড.প্রবীর ভৌমিক প্রযোজিত এই ছবিটি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সিনেমা সমালোচকরা এই ছবিটিকে বেশ ইতিবাচক রিভিউ দিয়েছেন।
তবে এই ছবির প্রযোজক ড.প্রবীর ভৌমিক বলছেন, “সো কল্ড নামাজাদা ছবির ভিড়ে বাংলা ছবি হারিয়ে যাচ্ছে। যদি সঠিকভাবে শো টাইম না দেওয়া হয় তাহলে দর্শক কীভাবে এই ছবি দেখবে? বড় বড় প্রযোজনা সংস্থার ছবিগুলিকে প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা ভালো শো টাইম দিচ্ছে। তবে অনেক বাংলা ছবি রয়েছে যেগুলি সঠিক শো টাইম বা হলের অভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।”
আরোও পড়ুন : ‘ও অভাগী’তে নবরূপে ফিরলেন মিথিলা! যৌনতার ফাঁদ এড়িয়ে এ যেন শুধুই সতীত্বের জয়
এই ছবির শো টাইম নিয়ে প্রযোজকের গলায় শোনা গেল ক্ষোভের সুর। ড. ভৌমিকের কথায়, তিনি একজন চিকিৎসক। তাঁর মতো আরো অনেক অন্য ক্ষেত্রের সৃষ্টিশীল মানুষেরা রয়েছেন যাঁরা চলচ্চিত্র জগতে কাজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু নিজের মাতৃভূমিতেই যদি নিজের ভাষার ছবি অবহেলিত হয়, তাহলে কীভাবে বাংলা ছবিকে ফের একবার বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়া যাবে?
আরোও পড়ুন : ‘ও অভাগী’ ছবির আয় থেকেই হবে গরীব শিশুদের চিকিৎসা! বেনজির কীর্তি প্রযোজক ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের
এই ছবির প্রযোজক আরও জানালেন, এই ‘সো কল্ড’ ছবিগুলি মাল্টিপ্লেক্সে মুখ থুবড়ে পড়ে। মহারাষ্ট্র বা দক্ষিণের রাজ্যে স্থানীয় ভাষার ছবি চালানো হয় প্রাইম টাইমে। তবে বাংলায় সেই রকম ব্যবস্থা নেই। তাই চিরকাল অবহেলিত থেকে যাচ্ছে ‘ও অভাগী’র মতো অসংখ্য সাহিত্য নির্ভর ভালো ছবি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইদানিংকালে বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী বা পরিচালক বলে আসছেন বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াতে।
তবে সিনেমা হলে যদি ঠিকমতো শো টাইম না পাওয়া যায় তাহলে কীভাবে বাংলা ছবি শাখা-প্রশাখা বিস্তার করবে? বড় বাজেটের বলিউডের ফিল্ম ও কমার্শিয়াল বাংলা ছবির দাপটে সাহিত্য নির্ভর ছবিগুলি দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। তবে সিনেমা হল মালিকেরা যদি এই ধরনের ছবি প্রাইম টাইমগুলিতে চালান তাহলে আরও বেশি দর্শক ছবিগুলি দেখতে পাবেন। উৎসাহ পাবেন নতুন প্রজন্মের পরিচালক ও প্রযোজকরা।