বাংলাহান্ট ডেস্ক : উড়িষ্যার কথা মনে আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুরী বা চিল্কা হ্রদের দৃশ্য। তবে এর বাইরেও উড়িষ্যায় বেশ কিছু মনোরম জায়গা রয়েছে যা আপনাকে উত্তরবঙ্গের অনুভূতি দিতে পারে। পাহাড় ঘেরা বিস্তীর্ণ চারপাশের দৃশ্য আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে সিকিমের কথা।
আমরা আজ উড়িষ্যার এমনই একটি জায়গার সম্পর্কে জানব যেটি মহেন্দ্রগিরি নামে পরিচিত। মহেন্দ্রগিরির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। চারদিক ঘেরা সবুজ পাহাড়ে। এর সাথে রয়েছে জলপ্রপাত। সবুজ পাহাড়ের গা বেয়ে তীব্র গতিতে মাকাডাড়িয়া জলপ্রপাতের জল নেমে আসে। এর তীব্রতা এতটাই যে এর কাছে যাওয়া মুশকিল।
আরোও পড়ুন : বরুণ বিশ্বাসের খুনেও জড়িত জ্যোতিপ্রিয়! কল রেকর্ড প্রকাশ্যে এনে বিস্ফোরক দাবি পরিবারের
এই জলপ্রপাত আপনাকে মনে করিয়ে দেবে দুধ সাগর জলপ্রপাতের কথা। পাহাড় থেকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকলে আপনার গায়ে এসে পড়বে জলপ্রপাতের জল। বহুদূর থেকে এই জলপ্রপাতের শব্দ শোনা যায়। মহেন্দ্রতনয়া নদী এই ঝরনার খুব কাছেই অবস্থিত। এই নদীটি নেমে এসেছে মহেন্দ্রগিরি পাহাড় থেকে। কুলকুল শব্দে বয়ে যায় এই নদীর জল।
আরোও পড়ুন : এবার স্যাট করে চলে যান বারাণসী, দূরত্ব কমছে কলকাতা থেকে কাশীর! এখানে তৈরি হচ্ছে নতুন এক্সপ্রেসওয়ে
নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ৫০০ ফুট উচ্চতা নিয়ে মহেন্দ্রগিরি ওড়িশার দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্খ। উত্তরবঙ্গের মতো এখানেও পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গেছে রাস্তা। বলা হয়ে থাকে পাণ্ডবেরা বনবাসে এসেছিলেন এই মহেন্দ্রগিরি পর্বতেই। এখানকার মন্দিরে নাকি পুজো করতেন কুন্তি।
এই মন্দিরটিকে কুন্তি মন্দির বলা হয়। এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে ৪০০ বছর পুরনো যুধিষ্ঠিরের শিব মন্দির, ভীম মন্দির, পরশুরামের বিশাল মূর্তি। মহেন্দ্রগিরির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে চিত্রগ্রাহকদের কাছেও বিশেষ পছন্দের তা বলাই বাহুল্য। বেশ কয়েকটি ভালো হোটেল রয়েছে এলাকায় আর পকেটে ২০০০ টাকার কাছাকাছি রাখলেই ঘোরা সম্ভব।