বাংলাহান্ট ডেস্ক : করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। করমণ্ডল দুর্ঘটনার দশ দিনের মাথায় বড় সাফল্য পেল সিবিআই। সিবিআই এর হাতে আটক স্টেশন মাস্টার সহ তিনজন। তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সোমবার আটক করেছে এই তিন রেল কর্মীকে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তাদের।
সূত্রের খবর, আজ সিবিআই Central (Bureau of Investigation) গ্রেফতার করেছে বাহানাগা বাজার স্টেশনের মাস্টার, একজন রেল টেকনিশিয়ান এবং আরও এক রেল কর্মীকে। আটক করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে অজ্ঞাত কোনও জায়গায়। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। যদিও তদন্তের প্রথম দিন থেকেই সিবিআই এই ঘটনার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি শব্দও খরচ করেনি।
তাই এই তিন রেল কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনও তথ্যও সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেনি। এত বড় দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল সেই নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। করমন্ডল দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই অন্তর্ঘাতের কথা সামনে এসেছে। অনেকে আবার মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে সিগন্যালিং কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি।
এই দুর্ঘটনার পিছনে সঠিক কারণ জানতেই জোর কদমে তদন্ত করছে সিবিআই। তারপর দশদিন পরেই উঠে আসে চমকে দেওয়ার মত তথ্য। এর আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছিল একাধিক রেল কর্মীর মোবাইল ফোন। খতিয়ে দেখা হয়েছে কল রেকর্ড। এমনকি খতিয়ে দেখা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ও সার্চ ইঞ্জিন হিস্ট্রি।
ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লোকো পাইলটদেরও। অন্যদিকে, বারোটি রাজনৈতিক দল রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ভুবনেশ্বরে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সূত্রের খবর, তারা বিক্ষোভ দেখাতে পারে ইস্ট কোস্ট রেলের হেডকোয়ার্টারের সামনে।
এই মর্মে তারা চিঠি দেওয়ার কথা ভাবছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। রাজনৈতিক দলগুলি আর্জি জানিয়েছে, করমন্ডল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করার। রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, সিবিআই তদন্তে তাদের আস্থা নেই। তারা মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বিজেপির পক্ষপাতদুষ্ট।