পাখির ডাকে ভাঙবে ঘুম, অল্প পুঁজিতে ঘুরে আসুন ফুলে ঢাকা গ্রাম গুরদুং

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাহাড় মানেই যে শুধু শৈলশহর দার্জিলিং, মিরিক বা চির পরিচিত কার্শিয়াং তা নয়। সবুজের আড়ালে নিজেকে যদি লুকিয়ে ফেলতে চান দুটো দিন, কিম্বা পাহাড়ি কোন পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে চোখ কচলাতে কচলাতে পাহাড়ের কোলে অপরূপ সূর্যোদয় দেখতে চান, তাহলে বেশ কয়েকটি অফবিট পাহাড়ি গ্রামের উদ্দেশ্যে আপনি পাড়ি জমাতেই পারেন।

সেক্ষেত্রে আপনি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন গুরদুংকে। সান্দাকফু ট্রেকিংয়ের দৌলতে মানেভঞ্জনের নাম অনেকে জানলেও আজও বহু ভ্রমণপ্রেমীদের কাছেই স্পষ্ট ধারণা নেই এই দুর্দান্ত জায়গা গুরদুং সম্পর্কে। মানেভঞ্জনের পরে পড়বে গুরদুং (Gurdum)। এককথায় বলা যায়, ছবির মতো পাহাড়ি গ্রাম। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি তো মিলবেই, সেই সঙ্গে মন খারাপগুলোও উবে যাবে নিমেষে।

সিঙ্গালিলা ন্যাশানাল পার্কের আওতাভুক্ত গুরদুং প্রায় ৮ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। চরাচর জুড়ে রয়েছে এক অপার নির্জনতা। পাহাড়ের ধাপে ধাপে ফসলের ক্ষেত দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। রুক্ষ পাথুরে জমিতে সবুজের উৎসব। চারপাশে রোডোডেনড্রন আর পাইনের বন। সান্দাকফু থেকে অনেকে ট্রেকিংও করেন। হরেক পাখি আর হরেক ফুলের মেলা বসে যায় এই পাহাড়ি ছোট্ট গ্রামে।

Gurdum

গুরুদুং থেকে সুর্যোদয়, সূর্যাস্ত কিংবা এই মায়াবী চাঁদের রাতে সব সময়ই সুন্দর। বলা ভালো, সূর্যাস্তের সময় আলোকচিত্রপ্রেমীরা তাদের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলির ছবিও তুলতে পারে। বলে রাখা ভালো, একাধিক হোম স্টে তৈরি হয়েছে গুরদুং এলাকায়। টেন্টের ব্যবস্থাও থাকছে। যারা মূল দার্জিলিং বাদ দিয়েও অফবিট জায়গায় ঘুরতে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে যে এই জায়গাটা বেশ পছন্দের হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর