বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের আর তার ফলেই ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে ভারতকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া নির্দেশ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী বয়কট করারও ডাক দিয়েছে। কুয়েত দেশের একটি সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ভারতীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার খবরও সামনে উঠে এসেছে। তবে এর মাঝেই শিরোনামে উঠে এলো নতুন এক তথ্য।
উল্লেখ্য, যে মুহূর্তে দাঁড়িয়ে OIC তথা ইসলামিক দেশগুলি ভারতীয় দ্রব্যসামগ্রী বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে, সেখানে বর্তমান পরিসংখ্যান দাবি করছে যে, এসকল দেশগুলির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে চলেছে ভারত। ফলে এসকল দেশগুলি খাদ্য এবং ফলের জন্য ভারতের ওপর যে বহু পরিমাণে নির্ভরশীল, তা বলাবাহুল্য।
সম্প্রতি, এক পরিসংখ্যান দাবি করেছে যে, করোনা মহামারীর সময় এই সকল দেশগুলিতে খাদ্য সামগ্রী রপ্তানিতে অগ্রণী ভূমিকা দখল করেছিল ভারত সরকার। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের ভূমিকা ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ফল, শাকসবজি মাংস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে সেই সময় এই দেশগুলিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2020 সালে ইরান ভারত সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় 24% চা ক্রয় করে এবং অপর দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী দেশটি ভারতের থেকে প্রয়োজনীয় কাজুর প্রায় 21 শতাংশ আমদানি করার পাশাপাশি প্রায় 15 শতাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্য আমদানি করে। এছাড়াও কাতার, কুয়েত এবং সৌদি আরবকে মাংস, ফল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে সহায়তা করে ভারত। ফলে বলতেই হচ্ছে, বর্তমানে ভারতীয় খাদ্য সামগ্রীকে বয়কট করার ডাক দিলেও সেই সিদ্ধান্ত কত সময় পর্যন্ত কার্যকর করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তায় সেই সকল দেশের সরকারগুলিও।
প্রসঙ্গত, Organisation of Islamic Countries(OIC) গোষ্ঠীতে মোট 56 টি দেশ রয়েছে, যার জনসংখ্যা প্রায় 189 কোটি অর্থাৎ বিশ্বের মধ্যে প্রায় 25 শতাংশের কাছাকাছি। ফলে এই সকল দেশগুলিতে ভারত যদি নিজেদের রপ্তানি বন্ধ করে, তবে তারাই যে এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হবে, তা বলা বাহুল্য।