বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার প্রথম ঢেউয়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনই নাভিশ্বাস উঠছে রাজ্যবাসীর। একদিকে যেমন করোনার মৃত্যুর ভয় বাড়ছে দিন প্রতিদিন তেমনি আবার টান পড়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও। এমতাবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আরো সমস্যা বাড়বে জনসাধারণের জন্য। কিন্তু সেই আশঙ্কাই সম্ভবত সত্যি হতে চলেছে।
বাড়তে চলেছে রান্নার তেলের দাম। কারণ, পরিবহণে খরচ বেড়েছে লরি পিছু প্রায় ৭ হাজার টাকা। গত বছর থেকে এ বছরের শুরু অবধি দফায় দফায় বেড়েছে জ্বালানি তেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম। যার জেরে এই মুহূর্তে পকেট খালি রাজ্যবাসীর। অন্যদিকে ক্রমাগত কমেছে ভর্তুকির টাকা। এমনকি অংকটা আস্তে আস্তে পৌঁছেছে শূন্যতেও।এমতাবস্তায় রান্নার তেলের দাম বাড়লে যে রীতিমতো অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ মানুষ তা বলাই বাহুল্য।
জানা গিয়েছে পোস্তা বাজার থেকে গোটা রাজ্যের প্রায় আড়াইশো মেট্রিকটন ভোজ্যতেলের যোগান দেওয়া হয় প্রতিদিন। এরমধ্যে সরষের তেল রয়েছে ১৫০ টন, অন্যদিকে রিফাইন অয়েল বা সাদা তেল রয়েছে ১০০ টন। পশ্চিমবঙ্গ ভোজ্য তেল উৎপাদন করে না। আর তাই এর পুরোটাই আসে রাজস্থান থেকে। রাজস্থান থেকে যে রাজ্যের ভৌগলিক দূরত্ব যত বেশি, সেই অনুযায়ী তেলের দাম বাড়বে তত বেশি।
রাজস্থান থেকে ১ লরি অর্থাৎ ২৩ টন ভোজ্য তেল পোস্তায় আনার খরচ ৮০ হাজার টাকা। যা পরের মাস থেকে হতে চলেছে ৮৭ হাজার টাকা। কলকাতা পাইকারি বাজারে প্রতি লিটার সরষের তেলের দাম এখন ১৬০ টাকা, খোলাবাজারে লিটারপ্রতি দাম ১৮০ টাকা। সাদা তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫৩ টাকা । খোলা বাজারে ১৭০ টাকা । গতবছর লকডাউন শুরুর আগে খোলাবাজারে সরষের তেলের লিটার প্রতি দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকা। এবছর যা বেড়েছে প্রায় ৬০ টাকা। এখন দাম আরো কত বাড়ে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবার গুলি।