বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই বেড়েছিল তেলের দাম। অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু ১০০ ডলার ছাড়ায়। এবার এই দাম আরও বাড়বে বলেই সতর্ক করল রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি, অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি পৌছাতে পারে ৩০০ ডলারে। সোমবার এক রুশ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে ব্যারেল পিছু ৩০০ ডলারের বেশি দামের তেল এবং জার্মানি-রাশিয়া গ্যাস পাইপলাইন বন্ধের সম্মুখীন হতে পারে পাশ্চাত্য দেশগুলি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার বলেন, ‘আমেরিকা এবং ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলি রাশিয়ার তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ২০০৮ সালের পর আবার আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে তেলের দাম। ১৪ বছরের রেকর্ডে অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ দাম এটিই।’
এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ান তেল প্রত্যাখ্যান বিশ্ববাজারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এর পরিণতি বিপর্যয় ঘটাতে পারে অর্থনীতিতে। অপ্রত্যাশিত ভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। প্রতি ব্যারেল পিছু তেলের দাম হবে ৩০০ ডলার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে পরিমাণ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে ইউরোপ, তার বিকল্প খুঁজতে একবছরেরও বেশি সময় লেগে যাবে ইউরোপের। একই সঙ্গে চোকাতে হবে অতিরিক্ত মূল্যও।’
গ্যাস পাইপ লাইন বন্ধের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন নোভাক। তিনি জানিয়েছেন,’ ইউরোপীয় দেশগুলি যদি রাশিয়ার থেকে শক্তি সরবরাহ সম্পুর্ণ বন্ধ করবে ভেবে থাকে তাহলেই একমাত্র গ্যাস পাইপ লাইন বন্ধ করুক। আমরা এটির জন্য প্রস্তুত। আমরা জানি ওই গ্যাস কোথায় খরচা করতে হয়।’ এর ফলে রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সম্পুর্ণ সুযোগ পাবে বলেও দাবি করতে দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ বিরতির জন্য ইউক্রেনকে চারটি শর্ত দিয়েছে রাশিয়া। এবার আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তে যে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে ঠিক কতখানি প্রভাব পড়বে ভারতে, নজর থাকবে সেদিকেই।