অমিত সরকার – সৌদির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানিয়েছেন ড্রোন হামলার ফলে ভোর চারটে নাগাদ আগুন লাগে আব কাইক ও কুরাইশ এই দুই কেন্দ্রে।
সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে আরামকোর বাণিজ্যিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হামলার কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। আরামকো জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার আব কাইক কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত তেল পারস্য উপসাগর লোহিত সাগরের বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে সারাবিশ্বে পাড়ি দেয়।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় 70 লক্ষ ব্যারেল তেল পরিশোধন করে এই কেন্দ্র। এর আগেও 2006 সালে এটিকে নিশানা করেছিল আল-কায়দার আত্মঘাতী জঙ্গীরা।
কুরাইশ খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে 10 লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল তোলা হয়। আরামকোর মতে এই খনিতে মজুদ রয়েছে অন্তত দু হাজার কোটি ব্যারেল তেল আর। এই ড্রোন হামলা চালিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আরামকোর একটি তেলের খনি ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার কেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দিল ইয়েমেনের হুথিরা।
ইরান সমর্থিত এই জঙ্গি সংগঠনটি জানিয়েছে হামলার জন্য দশটি ড্রোন ব্যবহার করেছিল তারা এর আগেও সৌদিকে নিশানা করে এই ধরনের হামলা চালিয়েছিল হুথিরা।
মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে হুথিদের ব্যবহৃত নতুন অত্যাধুনিক ইউভিএক্স ড্রোন পনেরশো কিলোমিটার অতিক্রম করতে সক্ষম অর্থাৎ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবার সহজেই তাদের নাগালে চলে এলো।