এবার পুরোনো গাড়ি বিক্রি করা যাবে আরও সহজে! নয়া নিয়ম শুরু করছে পরিবহণ দফতর

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পুরোনো গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম লাগু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর (Transport Department)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পুরোনো গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির জন্যই এই নিয়ম শুরু করা হচ্ছে। যার ফলে গাড়ি কিংবা বাইক বিক্রি করার পরে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত থাকতে পারবেন বিক্রেতারা। পাশাপাশি, গাড়ি বিক্রয়কারী সংস্থাগুলিও নতুন নিয়মের জেরে চাপমুক্ত থাকতে পারবে।

পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ব্যবসার লাইসেন্স নিতে হলে নির্দিষ্ট মূল্য জমা রাখতে হবে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এই নতুন নিয়মের ফলে পরিবহণ দফতরে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে জমা থাকার পাশাপাশি রাজস্বের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লাইসেন্স প্রাপ্ত সংস্থাগুলি কোনো গাড়ি কেনার পর যতক্ষণ না অন্য কাউকে গাড়িটি বিক্রি করছে ততক্ষণ পর্যন্ত গাড়ির মালিকানা থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছেই।

তবে, ওই গাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও সংস্থার কাছেই থাকবে। এমতাবস্থায়, কোনো ব্যক্তি ওই সংস্থাকে গাড়ি বিক্রি করতে চাইলে সেক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং তার ভিত্তিতে সংস্থাটি গাড়ির মালিক হিসেবেও বিবেচিত হবে। আর এইভাবেই ওই সংস্থাকে গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পর বিক্রেতারা সম্পূর্ণ চাপমুক্ত হতে পারবেন। পাশাপাশি, ক্রেতারাও নিশ্চিন্তে সঠিক কাগজপত্রের মাধ্যমে সংস্থা থেকে গাড়ি কিনতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, এই নতুন নিয়মের ফলে রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে গাড়ি বিক্রি বা মালিকানা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকবে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরটিও বা এআরটিওকে। শুধু তাই নয়, মাসিক ভিত্তিতে পুরোনো গাড়ি কেনা-বেচা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য লিখিত এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিবহণ দফতরের কাছে জমাও করতে হবে।

cars 759

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি আসানসোলে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে ব্যবহৃত গাড়িটির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, ওই গাড়ি সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে তদন্ত প্রক্রিয়াও। এমতাবস্থায়, গাড়ির যাবতীয় তথ্য এবার থেকে নিজেদের কাছেই রাখতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। আর তাই, আসানসোলের এহেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নিয়মের পথেই হাঁটছে পরিবহণ দফতর।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X