বৃদ্ধাশ্রমেই আলাপ, জমে উঠেছিল প্রেম! শেষমেশ ‘সাত পাকে বাঁধা’ পড়লেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অধিকাংশ মানুষই বৃদ্ধাশ্রমকে (Old Age Home) জীবনের শেষ অংশ হিসেবে ধরে নেন। কিন্তু এক বৃদ্ধ দম্পতি এই বৃদ্ধাশ্রমে শুরু করলেন জীবনের নতুন ইনিংস। বৃদ্ধ বয়সে এসে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা খুঁজে পেলেন কোলাপুরের ওই দম্পতি। বিয়ে করলেন পরিণত বয়সেই। শিলমোহর দিলেন সেই পরিণয়কে (Marriage)। অনুসুইয়া শিন্ডে এবং বাবুরাও পাতিল থাকতেন কোলাপুরের (Kolapur) শিরোল তালুক এলাকায় ঘোসরওয়াড় এলাকার জানকী বৃদ্ধাশ্রমে।

জীবনের শেষ পর্যায় এসে এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সময় একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। ৭৫ বছরের বাবুরাও এবং ৭০ বছর বয়সি অনুসুইয়া সমাজের সব বাধা-বিপত্তি দূরে সরিয়ে রেখে পরিণত হলেন দম্পতিতে। বর্তমানে এই দুজন এখন আলোচনার কেন্দ্রে। পুণের ভাগোলি এলাকার বাসিন্দা অনুসুইয়া। শিরোল তালুকের শিবনাকবড়িতে থাকতেন বাবুরাও। জীবন সঙ্গী হারিয়ে এই দুই বৃদ্ধ গত দু’বছর ধরে এই বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করছিলেন।

শারীরিকভাবে তারা সক্ষম হলেও মানসিকভাবে তারা ছিলেন হতাশাগ্রস্ত। একাকীত্ব গ্রাস করছিল তাদের। তারা একে অপরের সাথে ভাগ করে নিতেন মনের কথা। ধীরে ধীরে জমে উঠতে থাকে বন্ধুত্ব। অবশেষে বাবুরাও প্রেমের প্রস্তাব দেন অনুসুইয়াকে। অনুসুইয়া সেই প্রস্তাবে রাজি হন। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। তাদের চারপাশের পরিচিতরা এগিয়ে আসেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে।

Marriage

বাবুরাও এবং অনুসুইয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন স্থানীয় গ্রামবাসী ও বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে। বিয়ের পর বাবুরাও জানিয়েছেন, তিনি বৃদ্ধাশ্রমে আসেন নিঃসঙ্গ বোধ করায়। তিনি খুশি বিয়ে করতে পেরে। এই প্রসঙ্গে অনুসুইয়া বলেছেন, বাবুরাও প্রস্তাব দেওয়ার পর উত্তর দেওয়ার জন্য সময় নিই আট দিন। এখন মনে হচ্ছে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে আমি ঠিকই করেছি।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর