বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিরদিন আমরা একটা কথাই শুনে আসছি, জলের অপর নাম জীবন। বিজ্ঞান বলে, আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই জল। সেই ভারসাম্য বজায় রাখতে জল অপরিহার্য। এমনকি জল কম খেলেও অন্যান্য তরল পদার্থ গ্রহণ না করলে মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। কিন্তু এই চিরাচরিত এই ধারনার মূলেই সজোরে আঘাত হেনেছেন এক বৃদ্ধ। ১০৪ বছরের ওই বৃদ্ধ নাকি বেঁচে রয়েছেন জলপান না করেই!
অবাক লাগছে শুনতে? সেটাই স্বাভাবিক। জল ছাড়া যেখানে একটা দিনও কাটানো অসম্ভব মনে হয়, সেখানে দীর্ঘ ১০০ বছর কীভাবে জল না খেয়ে আছেন ওই বৃদ্ধ! এই গল্প শ্রীকান্ত কুইরার। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির শস গ্রামে থাকেন ওই বৃদ্ধ। বয়স ১০৪ বছর। কিন্তু তাঁকে দেখে কে বলবে সে কথা! শতরান করেও দিব্যি এখনও শক্তসবল রয়েছেন তিনি। শরীরে বার্ধক্যের ছাপ তো পড়েইনি, বরং এই বয়সেও জোয়ান ছেলেদের অনায়াসে টক্কর দিতে পারেন শ্রীকান্ত কুইরা। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই গ্রাম থেকে সেই গ্রাম চষে বেড়ান তিনি।
এখনও আড্ডা বসে তাঁর বাড়িতে। অন্যান্যদের মতোই খাবার খান, শুধু জল ছুঁয়েও দেখেন না। ওই বৃদ্ধ জানান, ছোটবেলায় জল খেলেই নাকি বমি হত তাঁর। সেই যে জল খাওয়া ছেড়েছেন, এই ১০৪ বছরে এসেও আর জলের স্বাদ নেননি তিনি। তাঁর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাও। তাঁদের বক্তব্য, শ্রীকান্ত কুইরাকে তারা স্নান করতে দেখেছেন কিন্তু জল খেতে দেখেননি কোনওদিন।
শ্রীকান্তকে দেখতে আশেপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ আসছে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক ও প্রখ্যাত চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই ব্যক্তি জল খান না এটা মানা সম্ভব নয়। জল না খেয়ে কারওর পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব। হয়তো খোঁজ নিল দেখা যাবে উনি জলের বদলে অন্য কোনও তরল পদার্থ খান।”