বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবাক কান্ড! জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে জেলাশাসকের দফতরে দৌড়লেন ৭৬ বছরের বৃদ্ধা।
ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের বামনিয়া-ব্যালাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জিত্নী কুমার, বয়স তাঁর ৭৬ বছর। ২০১৫ তাঁর সালে স্বামীর মৃত্যু হয়। তাঁর একমাত্র নাতির সংসারে তিনি রয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে বার্ধক্য ভাতা পান তিনি। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেই ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর খোজ নিতে বৃদ্ধা ঝালদা ২নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে যোগাযোগ করলে তিনি জানতে পারেন, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে মৃত হিসেবে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে ব্লকের বিডিওর সঙ্গে দেখা করে জানতে গেলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে তিনি লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন জেলাশাসকের কাছে।
তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আমি যে জীবিত অবস্থায় আছি, তারই প্রমাণ দিতে আমি জেলাশাসকের কাছে উপস্থিত হই।’ যদিও জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা না হলেও অতিরিক্ত জেলাশাসক-এর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান তিনি। তাঁর বার্ধক্য ভাতা পুনরায় চালু করার আবেদনও জানিয়েছেন। জেলাশাসক রজত নন্দা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে এই কান্ড এই প্রথম নয়। জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা। গত দু’বছর ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন অপর এক বৃদ্ধ দম্পতি। টাকার অভাবে বন্ধ হয় চিকিৎসাও। কুলপি ব্লকের ঢোলাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের ঘটনা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে একে অন্যকে দোষ দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
বৃদ্ধের অভিযোগ, তিনি বামপন্থী হওয়ায় তাঁর ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে ওই নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় ভাতা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের কাছে নথি পাঠানো আছে।’ খড়ের ছাউনি আর ছিটে বেড়ার মাটির দেওয়ালের এক চিলতে ঘরে বাস ৭৯ বছরের বিজয় হাতির।