বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা দেশেই করোনার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। আর করোনার বর্ধিত প্রকোপের কারণে রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবও দেখা দিয়েছে। গোয়ালিয়র-চম্বল হাসপাতালেও অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আর এই সমস্যার সমাধান করতে দেবদূত হয়ে এগিয়ে এসেছে গোয়ালিয়রের পাশে মালনপুরের সূর্য রশনি লিমিটেড ফ্যাক্টরি। তাঁরা এই সংকটের সময়ে অক্সিজেন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এরপরই রাজ্যের কোভিড পর্যবেক্ষক প্রদ্যুমন সিং তোমর সূর্য লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে জান আর সেখানকার ব্যবস্থার পর্যবেক্ষণ করেন। সেই সময় তিনি কারখানার অফিসার এবং কর্মচারীদের সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে তাঁদের প্রণাম জানান।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রদ্যুমন সিং তোমরকে কোভিড পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি লাগাতার ব্যবস্থা এবং বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। যখন সূর্য রশনি লিমিটেড কোম্পানি অক্সিজেন দেওয়ার আশ্বাস দেয়, তখন মন্ত্রী কারখানায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। উনি কারখানার অক্সিজেন রিফিলিং প্ল্যান্টের আধিকারিকদের সঙ্গে চর্চা করে অতি সত্বর অক্সিজেন উপলব্ধ করানোর আবেদন করেন। আধিকারিকরা মন্ত্রীকেও দ্রুত অক্সিজেন সাপ্লাই করার আশ্বাস দেন। এরপরই মন্ত্রী হাঁটু গেঁড়ে বসে অফিসারদের প্রণাম করেন।
কারখানার আধিকারিকরা জানান, এই প্ল্যান্টে ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ সিলেন্ডার অক্সিজেন ভরা যাবে। আর এই অক্সিজেন গুলোকে গোয়ালিয়র-চম্বলে সাপ্লাই করা হবে। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী প্রদ্যুমন সিং রাজ্যের সমস্ত অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিকদের আবেদন করে বলেন যে, এই দুঃসময়ে তাঁরা যেন এগিয়ে এসে হাসপাতাল গুলোকে অক্সিজেন সাপ্লাই করে। এর ফলে অনেক করোনা রোগীর প্রাণ বেঁচে যাবে।
এটাই প্রথম না, এছাড়াও অনেক কীর্তি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের এই মন্ত্রীর। এর আগে একটি সরকারি অফিসে বেহাল শৌচালয়ের অবস্থা দেখে নিজেই পরিস্কার করতে নেমে পড়েছিলেন। এছাড়াও একবার ওনার ছেলে মাস্ক না পরার কারণে পুলিশ কর্মীরা তাঁকে ধরে কারণ জিজ্ঞাসা করে। তখন মন্ত্রীর ছেলে বলেছিল, আমাকে চেনেন? এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই নিজেই নিজের ছেলেকে দিয়ে রাস্তার জঞ্জাল পরিস্কার করিয়েছিলেন মন্ত্রী এবং ১০০ টাকার জরিমানাও করিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ড্রেন পরিস্কার করা, আবর্জনা পরিস্কার করতেও দেখা গিয়েছে ওনাকে।