তাঁর মেয়েকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ, ‘বেটি বাঁচাও” মঞ্চে উঠে নেতাকে জুতোপেটা মহিলার! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রাজধানীতে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এবার ছতরপুর। দিল্লীর ছতরপুরে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুনের ঘটনা নিয়ে চলছিল ‘বেটি বাঁচাও মহাপঞ্চায়েত’ প্রসঙ্গে একটি অনুষ্ঠান। সেখানেই এক মহিলার হাতে জুতো দিয়ে মার খেলেন তাঁর পাশে দাঁড়ানো এক ভদ্রলোক। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এমন একটি ভিডিওটি।

ভিডিওটিতে দেখা গেলো প্রায় আপাদমস্তক ঢাকা এক মহিলা তাঁর সাক্ষাৎকরে বলছেন যে, তিনি বারংবার পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। এমতবস্থায় হঠাৎ তিনি তাঁর পাশে দাঁড়ানো মানুষটিকে জুতো খুলে মারতে শুরু করেন। এমনকী ওই মহিলাকে থামাতে ওই মঞ্চ থেকেও লোক নেমে আসে। শেষমেষ ওই মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ওই লোকটিকেও সরিয়ে নিয়ে যেতে তাঁরা সফল হন।

কিন্তু প্রশ্ন হল কোথায় দাঁড়িয়ে আছে আজকের মনুষত্ব? হঠাৎ এইভাবে কাউকে জুতো মারার পিছনে কারণ কী হতে পারে? কারণ হলো ওই মহিলা তাঁর পাশে দাঁড়ানো ওই লোকটির নামে অভিযোগ আনেন যে, ওই লোকটির ছেলে নাকি তাঁর মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে। এবং তিনি মঞ্চে উঠে তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী তিনি এই কথাই বলছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই পাশে দাঁড়ানো ওই ভদ্রলোককের উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করেন যে, এই লোকটার ছেলেই তাঁর মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এবং পুলিশকে অনেকবার নালিশ করেও কোনো সুরাহা পাননি তাঁরা। এরপরেই শুরু হয় জুতো দিয়ে মার।

অন্যদিকে এই শ্রদ্ধা মার্ডার কাণ্ডে ছতরপুরের নামও জড়িত, কারণ তিনি আফতাবের সাথে এখানেই এক ফ্ল্যাটে থাকতেন। এমনিতেই তাঁর হত্যা কাণ্ডে গোটা অঞ্চলের লোকজন শিহরিত। তার উপর এই জুতো দিয়ে মারার ঘটনা। শ্রদ্ধার মৃত্যুকে স্মরণে রেখেই ওই দিন অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো ‘বেটি বাঁচাও মহাপঞ্চায়েত’ অনুষ্ঠানটি। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে এই ধরণের অভদ্রতা চারিদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছে। আদৌও মহিলা সত্যি বলছেন কীনা জানা যায়নি।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর