মহা শিবরাত্রির পূন্য তিথিতে মহা দেবের পূজো হয়। আর অনেক জায়গায় হয় এই পূজো । কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম হল নিমতলা শ্মশানের ভূতনাথ মন্দির । আর এখানে শিবরাত্রি নিয়ে শোনা যায় এক প্রচলিত কাহিনি। নাকি বহুযুগ আগে কাশীতে এক ব্যাধ বাস করতেন। আর তিনি সারা দিন শিকার করতেন।
আর দিনের বেলায় বনে বনে ঘুরে শিকার করে ক্লান্ত হয়ে যেতেন এবং পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসতেন । এরকম আর একদিন বনে গিয়ে সারাদিন ঘুরে , অনাহারে ক্লান্ত সেই ব্যাধ বিশ্রাম নিচ্ছিল। গাছের নিচে ঘুমাছহিলো, এরপর যখন তার ঘুম ভাঙল তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এতে ওই ব্যাধ এক্সটু চিন্তিত হয়ে পড়ে এরপর তিনি ভাবেন যে আজ আর বাড়ি ফিরে আসা সম্ভব হবে না ।এরপর ওই ব্যাধ ঠিক করে যে একটি গাছের উপরে রাত কাটিয়ে পর দিন বাড়ি ফিরবে। কাছেই ছিল একটি প্রাচীন বেলগাছ। ব্যাধ তখন কাছেই একটি বেলগাছের ডালে শিকারগুলিকে বেঁধে রেখে নীচে একটি শক্ত ডালের উপরে বসে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই গাছে ছিলো শিবলিঙ্গ । আর সেই গাছের অর্থাৎ বেল পাতা গিয়ে পড়ে শিবলিঙ্গএর ওপর। আর তারপর থেকেই শুরু হয় এই পূজোর চর্চা।আর সেই থেকে এখোণো অব্দি পূজো চলছে । আর এইদিনে সব শিব ভক্তরা গাজার নেশায় মেতে ওঠেন। আমরা সবাই জানি যে গাজা খাওয়া নিষিদ্ধ । কিন্তু তা সত্বেও এই একটা দিন সবাই গাজা খান। আর পূজো করে থাকেন। আবার সেন যুগে যখন শৈব ও শাক্ত ধর্মের প্রাধান্য বাড়তে থাকে তখন আবার লিঙ্গ রূপ ছাড়াও নৃত্যরত শিব, উমা মহেশ্বর, কখনও বা অঘোড়শিব রূপে তিনি পুজিত হয়েছেন। তাই প্রতি বছর এইদিনে ধুম ধাম করে পূজো পালন করা হয়ে থাকে ।