বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রকাশিত হল রাজ্যের নতুন শিক্ষা নীতি। শনিবার নতুন শিক্ষানীতি আপলোড করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে ১৭৮ পাতার নয়া শিক্ষা নীতি। ২০৩৫ সালের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটবে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায়, সেই লক্ষ্যেই এই নয়া শিক্ষানীতি।
নতুন এই শিক্ষানীতিতে যেমন কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির কিছু অংশ নেওয়া হয়েছে, তেমনই কিছু অংশ কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে স্থির হয়েছে। নতুন এই শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এক বছরের প্রি-প্রাইমারি ক্লাস এবং চার বছরের প্রাথমিকের ক্লাসের কথা। এরপর শিক্ষানীতিতে রয়েছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসের উল্লেখ।
আরোও পড়ুন : আকাশে ঘন কালো মেঘ! একটু পরেই দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, আবহাওয়ার আপডেট
এছাড়াও বলা হয়েছে ধাপে ধাপে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হতে পারে অষ্টম শ্রেণীর পর থেকে। এছাড়াও জানানো হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে চালু করতে চলেছে সেমিস্টার পদ্ধতি। একাদশ শ্রেণীতে যে সকল পড়ুয়ারা ২০২৪ সালে ভর্তি হবেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
আরোও পড়ুন : মোদির নামপ্লেটে বাদ ‘ইন্ডিয়া’, তবে কী ‘ভারত’ নামেই সরকারি স্বীকৃতি? ইঙ্গিত দিচ্ছে G20 সম্মেলন
২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হবে সেমেস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ফলাফল। এছাড়াও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি করার কথা। নতুন শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষার উপর। নতুন শিক্ষা অনুযায়ী প্রত্যেক পড়ুয়াকে স্কুল স্তরে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি পড়তে হবে।
তৃতীয় ভাষা হিসেবে গুরুত্ব পাবে হিন্দি কিংবা সংস্কৃত। বাংলা পড়া আবশ্যিক প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। এছাড়াও শিক্ষা দপ্তর প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ‘ইউনিক আইডেন্টেটি কার্ড’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি মেমরি চিপ থাকবে এই কার্ডের সাথে। তাতে নথিভুক্ত করা থাকবে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফলাফল।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোট কর্মজীবনের অন্তত পাঁচ বছর গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা করা বাধ্যতামূলক করা হবে নতুন নীতি অনুযায়ী। প্রসঙ্গত প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে আসছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে রাজ্য সম্পূর্ণভাবে মেনে না নিলেও কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির কিছু অংশ মেনে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি মেনে ইতিমধ্যেই রাজ্যে চার বছরের স্নাতক কোর্স শুরু করা হয়েছে।