বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে প্রতারণার অভিযোগে বসিরহাটের সাংসদ নুসরাতের (Nusrat Jahan) কাছে শমন পাঠিয়েছিল ইডি (ED)। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সময়ের আগে আগেই তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গেছিলেন। তবে একবার জেরাতেই নাকি সন্তুষ্ট হননি ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। যে কারণে পুনরায় সমন গেছে নুসরতের বাড়িতে।
মিডিয়ার খবর, আগেরদিন নুসরত যখন হাজিরা দিতে যান তখন নাকি তিনি সমস্ত নথী জমা দেননি। যে কারণেই নাকি তাকে আবারও তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মকর্তারা। পাশাপাশি অভিযুক্ত সংস্থার আরেক ডিরেক্টর রাকেশ সিং-কেও নাকি ফের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে মাস খানেক আগে। শোনা যাচ্ছে সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্টাচার নামক এক সংস্থা প্রায় ৫০০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার টাকা তুলেছিল। সেই সময় নাকি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। প্রতারিতদের দাবি, এইভাবে মোট ২০ কোটি টাকার তছরুপ করে ঐ কোম্পানি।
আরও পড়ুন : ‘লজ্জা করেনা…’, জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গিয়ে এ কী কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন করিনা! ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা
ঘটনাটি চাউর হতেই বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা কয়েকজনকে নিয়ে এক সন্ধ্যায় ইডি দপ্তরে পৌঁছে মামলা দায়ের করেন। এরপরেই নুসরত প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান, তিনি আর ঐ কোম্পানির সাথে যুক্ত নন। তিনি আরও বলেন যে তিনি নাকি ব্যক্তিগতভাবে কয়েক কোটি টাকা লোন নিয়েছিলেন ঐ কোম্পানি থেকে যা তিনি পরবর্তীতে শোধ-ও করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ‘কাউন্টডাউন শুরু, আর মাত্র…’, শ্বেতার ছবি পোস্ট করে বিশেষ ইঙ্গিত রুবেলের
যদিও সাংসদ অভিনেত্রীর এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি কেউই। পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, তিনি কোনও ব্যাঙ্ক থেকে লোন না নিয়ে কোম্পানি থেকে কেন নিলেন? যদিও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর না দিয়েই বৈঠক ছেড়ে উঠে যান তিনি। এরপরেই নুসরতের কাছে ইডির তলব পৌঁছায় হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর আবারও একবার নুসরতের কাছে ফ্ল্যাট সংক্রান্ত আরও নথি তলব করল ইডি। সূত্রের খবর, তিনি এবারও যথা সময়ে পৌঁছে যাবেন বলেই জানিয়েছেন।