একসময়ের বেকার এখন Youtube চালিয়ে মাসে কামান ৮ লাখ! কিনেছেন একটি Audi গাড়িও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে রোজগারের নিত্যনতুন পথ খুলে যাচ্ছে। যেগুলির ওপর ভর করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক যুবকের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি নেটমাধ্যমকে কাজে লাগিয়েই কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। সর্বোপরি, ওই যুবককে আমরা অনেকেই চিনি। মূলত, আজ আমরা বিহারের (Bihar) ইউটিউবার (Youtuber) হর্ষ রাজপুত সম্পর্কে জানাবো। ইতিমধ্যেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

কমেডি ভিডিও তৈরি করেই প্রতি মাসে আয় হয় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা: ইন্টারনেটকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে তা আপনার আয়ের উৎসও হয়ে উঠতে পারে। আর হর্ষ রাজপুত এটাই আরও একবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। মূলত, হর্ষ রাজপুত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ইউটিউবে কমেডি ভিডিও বানান। যা নেটিজেনরা খুব পছন্দ করেন। বর্তমানে হর্ষের ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৩৩ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। সম্প্রতি, হর্ষ তাঁর ইউটিউবের রোজগার থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি অডি গাড়ি কিনেছেন। উল্লেখ্য যে, হর্ষের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিওটি ২০ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে।

দিল্লিতে করেছেন থিয়েটার: হর্ষ রাজপুত জানিয়েছেন যে তিনি বিহারের ঔরঙ্গাবাদের জাসোয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর মতে, তিনি ইউটিউব অ্যাডসেন্স থেকে প্রতি মাসে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন। ইউটিউব থেকে নিয়মিত আয়ের পাশাপাশি ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট থেকেও হর্ষ বিপুল অর্থ রোজগার করেন। হর্ষ ২০২২-এর জুন মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অ্যাডসেন্স থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৪.৫ লক্ষ টাকা আয় করেছেন।

উল্লেখ্য যে, এই জনপ্রিয় ইউটিউবারের বাবা বিহার পুলিশের একজন হোম গার্ড ছিলেন এবং পুলিশ অফিসারদের গাড়িও চালাতেন। এমতাবস্থায়, হর্ষ থিয়েটারের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। মুম্বাইয়ে যাওয়ার আগে তিনি দিল্লিতে থিয়েটারও করেন। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার ফলে লকডাউনের কারণে তিনি ফের নিজের জায়গায় ফিরে আসেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Harsh Rajput (@harshrajputin)

সেইসময়ে তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটি চালু করেন। মূলত, হর্ষ তাঁর ভিডিওগুলিতে রিপোর্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পাশাপাশি, সমাজের বিভিন্ন ঘটনারও উপস্থাপন করেন। হর্ষ বলেন, একটা সময়ে আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাঁর বাড়িটি নিলামে ওঠার উপক্রম হয়েছিল। এমনকি, পরিবারের অনেক ঋণও ছিল। কিন্তু ইউটিউবের আয় থেকেই সব সমস্যা দূর হয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর