একদিনের দুর্গাপুজো! মহালয়াতে বোধন, সেইদিনই বিসর্জন! কী ভাবছেন, এমনটা আবার হয় নাকি?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়া শুনে বাঙালির শুরু হয় মাতৃপক্ষের যাত্রা। চলতি বছর ২ অক্টোবর পড়েছে মহালয়া। মহালয়ার পর শুরু হবে দেবীপক্ষ। প্রথমা থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী শক্তির আরাধনায় মেতে উঠবে বাঙালি। প্রথমা থেকে দুর্গাপুজো (Durgapuja) অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও, মূলত ষষ্ঠীর দিন থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর আনন্দে গা ভাসাই আমরা সবাই।

মহালয়াতে দুর্গাপুজো (Durgapuja) শুরু, আর শেষও সেইদিনই

তবে জানেন আমাদের বাংলায় এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে মহালয়ার (Mahalaya) দিন দেবীর বোধন হয় এবং সেদিনই বিসর্জন হয় দেবীর! দামোদর নদের তীরে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রামে রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। সেই আশ্রমের দুর্গা পুজোতেই বছরের পর বছর ধরে এমন নিয়ম প্রচলিত আছে। গ্রামের মানুষরা বলেন, ১৯৭৮ সালে তেজনন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পান।

আরোও পড়ুন : পর্দার গীতা LLB হিয়ার পুজো প্রেম হয়নি কোনওদিন! একরাশ আফশোস নিয়ে এ কি বললেন নায়িকা?

তারপরই এই আশ্রমে মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজো (Durgapuja)। এই পুজোর আরো একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই আশ্রমে দেবী সন্তানদের সাথে আসেন না। দেবী দুর্গার সাথে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীর পুজো হয় একই সাথে। এক দিনেই সমস্ত পুজো অনুষ্ঠিত হয় বলে অনেক সময় লাগে এমনটা কিন্তু নয়।

Durgapuja

প্রায় বুড়ি ছোঁয়া করে নিষ্ঠার সাথে পালিত হয় প্রত্যেকটি নিয়ম। সমগ্র পুজো বিধি শেষ করা হয় এক ঘন্টার মধ্যে। এই পুজো একদিনে হলেও ভক্তদের ভক্তিতে কিন্তু কোনও খামতি থাকে না। এই গ্রামে অনেক মানুষ মহালয়ার দিন ভিড় জমান পুজো দেখতে। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর আদেশে অর্ধশতাব্দী ধরে এভাবেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে আশ্রমে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর