বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দুই বছর আগে, ২০২০ সালের ২৫ শে নভেম্বর তারিখে কার্ডিয়াক অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন মারাদোনা (Diego Maradona)। সেই হৃদরোগে ভুগেই প্রাণত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতানো দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। নিজের বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের শিকার হয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, এমন দাবিও করেছিলেন অনেকেই।
৬০ বছর বয়সে যখন মারাদোনা নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন, তখন বাকি বিশ্বের মতোই তাকে স্মরণ করেছিলেন পেলে (Pele)। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “একদিন, আশা করি, আমরা দুজনে স্বর্গে বল নিয়ে একসাথে খেলতে পারবো।”
তার সেই পোস্টের ২ বছর ১ মাস ৪ দিন পরেই মারাদোনার পথে হেঁটেছেন পেলে। ব্রাজিলের হাসপাতালে অসুস্থতার সাথে লড়াই করতে করতেই শেষপর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। তার প্রয়াণে এই কথাটি আবারও উঠে আসছে স্মৃতির পাতা থেকে।
পেলে, মারাদোনার চেয়ে অন্তত দুই দশক সিনিয়র। তাই একসঙ্গে বা একে অপরের বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি মাঠে নামা হয়নি তাদের। ১৯৭৭ সালে পেলের ফুটবল কেরিয়ার শেষ হয়েছিল আর মারাদোনার ফুটবল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। কিন্তু ২০১৬ ইউরো চলাকালীন একটি ফাইভ এ সাইড প্রীতি ম্যাচে একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন দুই কিংবদন্তি। এছাড়া একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শোতে ২ কিংবদন্তিকে একসাথে মাথায় বল নাচাতে দেখা গিয়েছিল।
দুজনের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্য সবসময় মধুর ছিল না। মারাদোনা একবার পেলে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন যে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির জাদুঘরে থাকা উচিত। আবার ২০০৬ সালে মারাদোনা তার চেয়ে বড় ফুটবলার কিনা জিজ্ঞাসা করায় পেলে পাল্টা প্রশ্নকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে বাঁ-পা বাদ দিলে মারাদোনা তার কেরিয়ারে কয়টি গোল ডান পা বা হেডের সাহায্যে করেছেন! তবে স্বর্গ বলে যদি সত্যিই কোনও জায়গা থাকে এবং সেখানে যদি দুই কিংবদন্তের আজ দেখা হয়, তাহলে যাবতীয় বিবাদ ভুলে শুধুমাত্র সুখের মুহূর্তগুলি স্মৃতি নিয়েই যে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।