কুঁড়ে ঘরে থাকা চাষির বিদ্যুৎ বিল ১ লক্ষ ৩৮০ টাকা! রাতের ঘুম উড়ল কৃষকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিদ্যুৎ বিল দেখে তো ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। পেশায় প্রান্তিক কৃষক। থাকেন এক ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে। বিদ্যুৎ খরচ বলতে শুধু দুটো বাল্ব জ্বলে। তাও দিনের বেলা বন্ধ। তার বিনিময়ে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লক্ষ ৩৮০ টাকা। কী করে এমন বিল এলো? এই প্রশ্নের জবাবে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকরা।

কিভাবে এলো এত বিল?

মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের ঘটনায় হতভম্ব সকলেই। নেহাতই ক্ষুদ্র চাষি তিনি। সন্ধ্যায় শুধু দুটো বাল্ব জ্বলার বিদ্যুৎ খরচ নাকি ১ লক্ষ ৩৮০ টাকা। এটা দেখেই মাথায় হাত তাঁর। বাড়িতে না আছে টিভি, না আছে ফ্রিজ, এমনকি নিদেন পক্ষে একটা পাখাও নেই। তাও এতটাকা বিদ্যুৎ বিল কিভাবে আসে তা জানতেই তড়িঘড়ি দৌড়ন বিদ্যুৎ নিগমের দফতরে। সেখানে আধিকারিকদের সব কথা খুলে বলেন। গরীব চাষির ‘অত্যন্ত সৌভাগ্য’ যে আধিকারিক তখন উপস্থিত ছিলেন তিনি ‘খুবিই দয়ালু’। অনেক ভেবে চিন্তে, অনেক হিসাব কষে চাষির বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনেন ‘মাত্র’ ৪৪ হাজার ২৯০ টাকায়। তবে দুটো বাল্ব জ্বলার বিদ্যুৎ বিল কিভাবে ‘মাত্র’ ৪৪ হাজার ২৯০ টাকা হয় তার কোনও সদুত্তর সেই আধিকারিক দিতে পারেন নি।

চাষির মাথায় হাত

সেই গরীব চাষি বলেন তিনি মাত্র ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছেন। তাহলে কিভাবে এই বিরাট অংকের বিল আসতে পারে? এই বিষয়ে বিদ্যুৎ নিগম দফতরের কোনও আধিকারিক কিছুই বলতে রাজি নন। চাষির ভাইপো বলেন, ‘আমার জ্যাঠা মশাই একটা ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে থাকেন। মাত্র দুটো বাল্ব তাঁর ঘরে জ্বলে। এই মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লক্ষ ৩৮০ টাকা। এই নিয়ে আমার জ্যাঠা মশাই খুব চিন্তায় রয়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন না এত টাকা কোথা থেকে তিনি দেবেন?’

হাজার-হাজার টাকার বিল এসেছে আরও অনেকের

অভিযোগ উঠছে নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিভাগ বাড়িতে রিডিং নিতেই আসে না। মনগড়া ইউনিট বসিয়ে বিল পাঠিয়ে দেয় গ্রাহকের বাড়িতে। জানা যাচ্ছে,  শুধু ওই চাষিই নন, আশপাশের আরও বেশ কয়েক জনেরই ৪০-৫০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এই রকম অদ্ভুত বিল দেখে চিন্তায় এলাকাবাসী। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ শুনবে কে? বিদ্যুৎ নিগম দফতরের আধিকারিকরা তো মুখে কুলুপ এঁটেছেন বসে আছেন। এমনই অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর