বেতন ৩৫ হাজার! কাজ মিলেছিল টাটা কারখানায়! কিন্তু তারপর….আক্ষেপের সুর মণিমোহনের গলায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জমির মালিকানা এবং অধিকার নিয়ে গঠিত আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে নামিয়ে এনেছিল রাজ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। ২০০৬ সাল নাগাদ ২৩৫টি আসনে জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) সিঙ্গুর ইস্যু

ঠিক তার এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটার (TATA) জমি নিয়ে শুরু হয় বাদানুবাদ। যে কাজটা আলোচনা করে মিটে যেতে পারতো সেখানে আলোচনা করতেই চাননি বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)। বিশেষ করে মমতার সঙ্গে কথা বলতে চান নি তিনি। কিন্তু সেদিন টাটা কারখানা সিঙ্গুরের জমিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারার জন্য আজও আক্ষেপ রয়েছে কিছু মানুষের।

আরোও পড়ুন : Optical Illusion : এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে আছে এক ভিন্ন দম্পতি! খুঁজে পেলেই আদর্শ প্রেমিক আপনি

গাড়ির কারখানা ঘুরতে যখন সিঙ্গুরে টাটারা আসে তখন অনেকেই খুব খুশি হয়েছিলেন। এলাকার আড়াই বিঘে জমি দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কারখানা হলে এলাকার অর্থনৈতিক চেহারাটাই বদলে যেতে বলে জানাচ্ছেন তিনি। যুবক যুবতী শিক্ষিত ব্যক্তিরা চাকরি পেতেন। রাজ্যজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হতো।

আরোও পড়ুন : এবার জমবে মজা! পর্ণার স্মৃতি ফিরতেই, ‘নীম ফুলের মধু’তে আসছে জব্বর টুইস্ট 

মণিমোহন বাঙাল নামক এক ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে বলেন,”পুণের টাটা মোটরসে প্রশিক্ষণ নিয়ে কারখানার বৈদ্যুতিক বিভাগে কাজ করতাম মাসিক ৩৫ হাজার টাকা বেতনে। কিন্তু কারখানাই থাকল না। আমাদের কাজও গেল। বছর চারেক আগে বাবা মারা গিয়েছেন। আমি বাবার মুদিখানা চালাই। মা, স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে থাকি।”

অনেকেই জমি দান করতে দুবার ভাবেননি।ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার পাশাপাশি কাজও পেয়েছিলেন অনেকে। সিঙ্গুরে টাটা কোম্পানির কারখানা নির্মাণ নিয়ে বহু টালবাহানা এবং বিক্ষোভের পর সুপ্রিম কোর্ট জমি ফেরত দেওয়ার রায় দেন। কিন্তু জমি ফেরত পেলেও সেই জমি আর চাষযোগ্য হয়ে ওঠেনি।

Singur Today

তাই পড়েই আছে জমিগুলি। আফসোস করে মনিমোহন বাঙাল নামক এক ওই ব্যক্তি বলেন,” দোকানের ভরসাতেই সংসার। কারখানা হলে সিঙ্গুরের আমূল পরিবর্তন হত। ৮০-৮৫% মানুষ জমি দিয়েছিলেন। কারখানা না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। তৎকালীন বিরোধী দল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হতে দেয়নি। আজ ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক সবাই চান, কারখানা হোক।”

এই রাজ্যে শিল্প হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মনিমোহন বাবু বলেন, “তবে আমার মনে হয়, এ রাজ্যে আর শিল্প হবে না। এ ভাবেই চলতে হবে। কষ্টে ওই জমির দিকে তাকাই না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee) স্বপ্ন দেখেছিলেন, সিঙ্গুরে কারখানা হোক। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বুকে ব্যথা নিয়েই বুদ্ধবাবু চলে গেলেন।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর