ঘূর্ণিঝড় YAAS-এর থেকেও বড় আতঙ্ক বিজেপিতে! আরও এক প্রভাবশালী নেতা ফিরে যাচ্ছে তৃণমূলে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি যেন দিনে দিনে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছে। একেতেই বিধানসভা নির্বাচনে হার, তারপর গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে উঠেছে দলবদলুদের দল ছাড়ার হিড়িক। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন ভাঙন দেখা গিয়েছিল তৃণমূলে, তেমনই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ভাঙন দেখা দিচ্ছে বিজেপিতে। একে একে তৃণমূল ত্যাগীরা বিজেপির ডুবন্ত নৌকা ছেড়ে পালাচ্ছে। শুরুটা হয়েছিল ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে দিয়ে। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের দুই নেতা … তারপর তালিকাটা বেড়েই চলেছে।

গোটা রাজ্যবাসী যখন ঘূর্ণিঝড় YAAS নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে, তখন বিজেপি ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি দল ভাঙনের আতঙ্কে ভুগছে। শনিবার সোনালী গুহ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। এরপর রবিবার মালদহের নেত্রী সরলা মুর্মু বিজেপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়ে দেন যে, আগামী দিনগুলোতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কাজ করবেন।

আর এবার ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমল আচার্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তিনি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দিদির সঙ্গে থেকে লড়াই করে যাবেন। যদিও তৃণমূল তাঁকে আদৌ দলে ফিরিয়ে নেবে কি না, সেটা জানা যায়নি।

amal 1

উল্লেখ্য, দীপেন্দু বিশ্বাস যেই কারণ দেখিয়ে বিজেপি ছেড়েছেন, সেই একই কারণ দেখিয়ে বিজেপি ছারলেন অমলবাবু। তিনি বিজেপির উপর অভিযোগ করে বলেন যে, এই মহামারীর সময় যখন সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার দরকার, তখন বিজেপি রাজ্যের হেভিওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁদের জেলবন্দি করেছে। প্রসঙ্গত নারদা মামলায় তৃণমূলের তিন বিধায়ক-মন্ত্রীর গ্রেফতারির বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন তিনি।

আরেকদিকে, তৃণমূলে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, শুধু এঁরা একাই না আরও দলত্যাগীরা তৃণমূলে ফিরে আসতে চায়। কুণালবাবু জানান, বিজেপির ৬-৭-৮ জন বিধায়ক আর ৩ জন সাংসদও তৃণমূলে যোগ দিতে চায়। তবে এই মহামারীর সময় আমরা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর