বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা-বিধানসভা ভোট এবার একসঙ্গে?এক দেশ এক ভোটের দিকে এবার আরও একধাপ পা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার তথা আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নীতি কার্যকর করা লক্ষ্যে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ পাশ হয়েছে (One Nation One Election)। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বিভিন্ন মঞ্চে আলোচনার পর রিপোর্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত (One Nation One Election)!
এদিন মোদী মন্ত্রিসভার তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, ‘এক দেশ এক ভোট আসলে বিজেপির আর একটি গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ’। অন্যদিকে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, নানান মঞ্চে আলোচনার পরেই রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন একত্রে আয়োজন!
দেশে ভোট আয়োজন করতে একটা বিরাট পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, সেই খরচে লাগাম টানতে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও বেশি সুষ্ঠু করতে এই এক দেশ এক ভোটের (One Nation One Election) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফ থেকে এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হয়। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি বানানো হয়। ইতিমধ্যেই সেই কমিটির তরফ থেকে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৬০০ টাকা থাকলেই হবে! আপনি এবার পেতে পারেন মোদীর পাওয়া উপহার! জানুন পদ্ধতি
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮,৬২৬ পাতার রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়ভাগে লোকসভা এবং বিধানসভার পাশাপাশি পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটও একত্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়! লোকসভা ভোটের ১০০ দিনের মধ্যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট করানোর সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল শুরু থেকেই এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election) নীতির সমালোচনায় সরব। তাদের দাবি, এটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এই নীতি যদি লাগু হয় তাহলে লোকসভার ‘চাপে’ বিধানসভাগুলি জোর ‘ধাক্কা’ খাবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।