যোগীরাজ্যে বুলডোজার আতঙ্ক! নিজে থেকেই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার আবেদন ব্যক্তির

বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কঠোর পদক্ষেপে অপরাধীদের মধ্যে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অপরাধীর বাড়িতে বুলডোজার চলছে। এমতাবস্থায় রামপুরের এক ব্যক্তি “বাবা কা বুলডোজার’-এর ভয়ে নিজেই বাড়ির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের রামপুরে বসবাসকারী এক ব্যক্তি সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) অশোক চৌধুরীর কাছে আবেদন করেছেন যে তাঁর বাড়ির একটি অংশ অবৈধ এবং তা অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া উচিত। এহসান মিয়া নামে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একটি আবেদনে জানান, তাঁর বাড়ির কিছু অংশ একটি শুকিয়ে যাওয়া পুকুর ও কবরস্থানের জমিতে তৈরি করা হয়েছে। এই দু’টিই সরকারের সম্পত্তি।

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, প্রায় দুই প্রজন্ম ধরে সেখানে তাঁর পরিবার বসবাস করছে। তিনি জায়গাটি পরিমাপ করার পর বুঝতে পারেন যে, সরকারি সম্পত্তির ওপর অবৈধভাবে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। সে কারণেই তিনি এটি ভেঙে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে, রামপুরের এসডিএম জানিয়েছেন যে, রামপুর জেলার শাহাবাদ তহসিলের মিত্রপুর এহরোলা গ্রামের অনেক বাড়ি শুকিয়ে যাওয়া পুকুর এবং কবরস্থানের জমিতে তৈরি। সম্প্রতি প্রশাসন গ্রামে জরিপ করার পরে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নিতে নোটিশও পাঠিয়েছে প্রশাসন।

এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শাহবাদের তহসিলদার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন যে, মিত্রপুর এহরোলা গ্রামটি প্রায় ২০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত এবং ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে বসবাস করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। দীনেশ আরও জানান যে, এসডিএম প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, সরকারী জমি খালি করার পদক্ষেপ নেবেন এবং প্রায় ৫০ টি পরিবার এই পদক্ষেপের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।

তিনি জানিয়েছেন, ওই পরিবারগুলির কিছু মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র এবং তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্যও কোনো জমি নেই। এমতাবস্থায়, ওই দরিদ্র পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

bull

এদিকে, এহসান মিয়ার এই পদক্ষেপের পর গ্রামের সরকারি জমি দখলকারী অন্য পরিবারগুলিও সরকারের নজরে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে গ্রামের লোকজন তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর