বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবশেষে কিনারা হল অঙ্কুশ হাজরা (ankush hazra) ও ঐন্দ্রিলা সেনের (oindrila sen) সহকারীর আত্মহত্যা (suicide) রহস্যের। এই ঘটনায় রাজস্থানের ভরতপুরের আংগ্রাওয়ালির বাসিন্দা আয়ুব খানকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
গত ২রা মার্চ নারকেলডাঙার বাড়ির শৌচালয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলার সহকারী পিন্টু দাসের দেহ। তাঁর মোবাইলের দুটি নম্বরের চ্যাট দেখেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। দীর্ঘদিন ধরে ওই নম্বর থেকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল পিন্টুকে। একটি ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
এই ভিডিও সম্পর্কে কোনো ধারনা ছিল না অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলার। তবে তদন্তে উঠে আসে সমস্ত তথ্যই আর খুলতে থাকে রহস্যের জট। জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার ছবি দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে চ্যাট শুরু হয় পিন্টুর সঙ্গে। দুই তরফেই চালাচালি হয় অশ্লীল ভিডিও। পরে সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েই দিনের পর দিন ধরে টাকা আদায় করা হয় পিন্টুর থেকে।
দু দফায় পাঁচ হাজার ও এক দফায় দশ হাজার টাকা পিন্টুর থেকে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করে ওই জালিয়াত। অঙ্কুশের থেকেও তিনি কয়েক বার ধার চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও আরো দশ হাজার টাকা চাওয়া হয় পিন্টুর থেকে। অনাদায়ে লালবাজারের এক পুলিসকর্তার ভুয়ো ছবি পাঠানো হঢ় পিন্টুকে। টাকা না দিলে দু ঘন্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হয়।
এই চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহনন করেন পিন্টু। আয়ুব খানকে গ্রেফতারির পর এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে সেই বিষয়েও তদন্ত চলছে। গত ছয় মাসে এমন আরো চারটি ঘটনার কথাও প্রকাশ্যে এসেছে বলে খবর।