বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) ঘরের সামনে ঘোরাঘুরি। সোমবার দুপুরে কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation) আটক এক সন্দেহভাজন। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস। প্রথমে তাঁকে আটক করেছিল পুরসভার (KMC) পুলিশ। পরবর্তীতে তাঁকে নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল আদালতে তোলা হবে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে সে বাংলাদেশি।
কেএমসি-তে (Kolkata Municipal Corporation) মেয়রের ঘরের সামনে থেকে আটক সন্দেহভাজন!
জানা যাচ্ছে, এদিন দুপুর ১টার পর এই ঘটনাটি ঘটেছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল রফিকুল নামের ওই ব্যক্তিকে। তিনি কোথায় যাবেন এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে খবর। ওই যুবকের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন প্রথমে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই ব্যক্তি নাকি বলেন, তিনি দুবাইয়ে থাকতেন। আগেও তাঁকে আটক করা হয়েছিল বলে দাবি করেন রফিকুল। জানা যাচ্ছে, তাঁর কথাবার্তার পাশাপাশি নথিপত্রেও অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। আধার কার্ডের সঙ্গে পাসপোর্টের মিল নেই বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক অতীত! এবার ভারতীয় রেলে নিয়োগ দুর্নীতি? তোলপাড় রাজ্য
ওই যুবককে প্রথমে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) পুলিশ আটক করেছিল। এরপর অসঙ্গতি মেলায় নিউ মার্কেট থানার পুলিশ তাঁকে নিয়ে যায়। এই ঘটনা যখন ঘটেছিল সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেএমসি-তে ছিলেন না। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
জানা যাচ্ছে, ধৃত যুবক বাংলাদেশি বলে আগেই সন্দেহ করছিল পুলিশ। এরপর জেরার মুখে সে এই কথা স্বীকার করে নেয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে শহর কলকাতা থেকে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার খোদ কলকাতা পুরসভায় মেয়রের ঘরের সামনে থেকে আটক করা হল এক সন্দেহভাজনকে।
এদিন রফিকুল নামের ওই যুবক প্রথমে দাবি করেন, তিনি দুবাই থেকে কলকাতায় এসেছেন। কিছু কাগজপত্র ভেরিফিকেশনের জন্য কেএমসিতে (Kolkata Municipal Corporation) আসা। তবে তাঁর হাবভাব দেখে অনেকের অনুমান তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। এদিন দুপুরেই ওই যুবককে নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সত্যিই তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে নাকি বিষয়টা অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। বিকেল গড়াতেই জানা যায় গ্রেফতারির খবর।