“কাজ করে মজা পাচ্ছিনা!” লিখে হর্ষ গোয়েঙ্কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন কর্মী! ভাইরাল নেটমাধ্যমে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে নেটমাধ্যমে কোনো অদ্ভুত রকমের বিষয় সামনে এলেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করে। এমনিতেই কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পদত্যাগপত্রের ছবি তুমুলভাবে ভাইরাল হতে শুরু করেছিল। যেখানে লেখা ছিল “বাই বাই স্যার।” এদিকে, এই তিন শব্দের পদত্যাগপত্র দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠে যায় নেটিজেদের। এমনকি, পদত্যাগপত্রের ওই ছবিটিও উঠে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

এমতাবস্থায়, সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ফের একটি ছবি সামনে এসেছে যেখানে একজন কর্মী তাঁর কাজ করে মজা পাচ্ছেন না বলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, দেশের অন্যতম শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কার উদ্দেশ্যে তিনি একটি পদত্যাগপত্রও পাঠান যাতে লেখা ছিল মাত্র কিছু শব্দ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ চাকরি বা কাজ ছেড়ে দেওয়ার সময় তাঁদের সংশ্লিষ্ট সংস্থার উদ্দেশ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। যার ভিত্তিতে ওই কাজটি ছাড়তে পারেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, এই পদত্যাগপত্র লেখার জন্য একাধিক পদ্ধতিও প্রচলিত রয়েছে। অনেকে আবার নির্দিষ্ট কারণও তুলে ধরেন এই সিদ্ধান্তের জন্য। কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে ততই অভিনবভাবে পদত্যাগপত্র লেখার চল শুরু হচ্ছে। এমনকি, সেই সংক্রান্ত ছবিগুলিও ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে।

এদিকে, এহেন পদত্যাগপত্র পেয়ে হর্ষ গোয়েঙ্কা সেটি তাঁর টুইটার এবং লিঙ্কডইন-এ শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি, ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এই চিঠিটি ছোট হলেও খুব গভীর। এটি একটি গুরুতর সমস্যা যা আমাদের সকলকে সমাধান করতে হবে।” পাশাপাশি, ওই টুইটে পোস্ট করা ছবিটিতে লেখা রয়েছে, “মাননীয় স্যার, আমি পদত্যাগ করছি। আমি মজা পাচ্ছিনা।” মূলত,, রাজেশ নামের এক ব্যক্তি জুন মাসেই ওই পদত্যাগপত্রটি লিখেছেন।

এদিকে, এই টুইট সামনে আসতেই তা কার্যত ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, এহেন পদত্যাগপত্র দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটাগরিকরা। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “এটি প্রায় প্রতিটি কর্মচারীর অনুভূতি কিন্তু সবাই প্রকাশ করতে পারেনা।” পাশাপাশি, আরেকজন লিখেছেন, “কেন এই ব্যক্তি নিজের কাজ উপভোগ করতে পারলেন না, তার সঠিক কারণটি বোঝা দরকার।” এছাড়াও, অন্য আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ঈশ্বর সবাইকে এমন মনোভাব দিন।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর