‘দুজনকেই বড্ড ভালোবাসি, ওদের ছাড়া থাকা সম্ভব নয়” একসাথে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে প্রেমিকের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে, ভালোবাসা নাকি কোনো বাধাই মানে না! এমনকি প্রেমের জোয়ারে ভেসে গিয়ে কার্যত দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে পড়েন মানুষ। আর তাই তো জীবনে চলার পথে নতুন করে প্রেমে পড়েন অনেকেই। এমনিতেই এই রকম ঘটনা আমরা রুপোলি পর্দায় বহুবার দেখেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন সিরিয়ালেও এমন ঘটনার প্রসঙ্গ বারংবার উপস্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এবার রুপোলি পর্দার বাইরেও বাস্তবের মাটিতে ঘটেছে ঠিক এইরকমই এক ঘটনা।

যেখানে একই সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন এক যুবক। শুধু তাই নয়, নিজের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতে দুই তরুণীর সিঁথিতেই সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এভাবেই সকলের সম্মতি মেনে অভিনব ভাবে পূর্ণতা পেল তাঁদের ভালোবাসা। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগায় এক যুবক তাঁর দুই প্রেমিকাকে একই সঙ্গে বিয়ে করেছেন। ওই যুবকের নাম হল সন্দীপ ওরাও।

পাশাপাশি, সন্দীপ বিবাহ করেছেন কুসুম লাকড়া এবং স্বাতী কুমারী নামের দুই মহিলাকে। ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগার ভান্দ্রা ব্লকের বান্দা গ্রামে একইসঙ্গে এবং একই মণ্ডপে সন্দীপ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলেন কুসুম এবং স্বাতীকে। জানা গিয়েছে, প্রথমে সন্দীপ এবং কুসুম গত তিন বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। এমতাবস্থায়, তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে।

কিন্তু, বছরখানেক আগেই তাঁদের এই সম্পর্কে এক নাটকীয় মোড় আসে। মূলত, তখন পশ্চিমবঙ্গের একটি ইটভাটায় কাজ করতে আসেন সন্দীপ। আর সেই ইটভাটাতেই কাজ করতেন স্বাতী কুমারীও। এমতাবস্থায়, ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে তাঁদের। এমনকি, সন্দীপ গ্রামের বাড়িতে ফেরার পরেও স্বাতীর সাথে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ চলত বলে জানা গিয়েছে।

এমতাবস্থায়, এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসতেই পরিবারের সদস্যরা তা কিছুতেই মেনে নেননি। পাশাপাশি, বিরোধিতা করেন গ্রামবাসীরাও। শুধু তাই নয়, একটা সময়ে দীর্ঘ বিবাদের পর গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত ডাকেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ওই দু’জন মহিলাকেই বিয়ে করতে হবে সন্দীপকে। এদিকে, এমন সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান ওই দুই মহিলার পরিবার। পাশাপাশি, সন্দীপের পরিবারও অদ্ভুতভাবে তা মেনে নেন। আর তারপরেই শুরু হয় বিবাহের প্রস্তুতি।

1655787799 wedding 1

এই প্রসঙ্গে সন্দীপ অবশ্য জানিয়েছেন, “আমি দু’জনকেই ভালবাসি, তাই ওদের ছাড়া আমার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এমনকি, আমি এটাও জানি যে, এই বিয়ে নিয়ে আমাকে আইনি জটিলতাতেও পড়তে হবে।” যদিও, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই আপাতত সংসারে মন দিতে চান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর