বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটে বড়সড় রদবদল করে নতুন কিছু মুখকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। তবে, তাঁর আগে পুরনো মন্ত্রীদের কাছে ফোন যায় আর তাতেই ১২ জন ইস্তফা দিয়ে দেন। ওই ফোন ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি জেপি নাড্ডার ছিল, যার একটি কথায় রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাবেড়কর, হর্ষবর্ধন, রমেশ পোখরিয়াল সমেত ১২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন।
মন্ত্রীদের থেকে ইস্তফা চাওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন নাড্ডা
সুত্র অনুযায়ী, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ক্যাবিনেটে রদবদল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন জেপি নাড্ডা নিজের ফোনের সঙ্গে বসে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নিজের টিমে কয়েকজন নতুন নেতাকে যুক্ত করছিলেন এবং কয়েকজন মন্ত্রীর দায়িত্ব বাড়াচ্ছিলেন। পাশাপাশি সেদিন কয়েকজন পুরনো এবং প্রবীণ নেতাদের ক্যাবিনেট থেকে অপসারণ করা হয়। আর এরজন্য সবথেকে দরকারি ছিল ক্যাবিনেট বিস্তারের আগে তাঁদের ইস্তফা। আর এর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন বিজেপির সভাপতি। তিনি একটি ফোন করে মন্ত্রীদের থেকে ইস্তফা চান।
সবার আগে কার কাছে গিয়েছিল ফোন?
ক্যাবিনেট বিস্তারের জন্য সন্ধ্যা ৬টার সময় নির্ধারিত করা হয়েছিল, আর তাঁর আগে অপসারিত মন্ত্রীদের ইস্তফার দরকার ছিল। সুত্র অনুযায়ী, নন্তুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণার আগে জেপি নাড্ডা এক-এক করে ১২ জনকে ফোন করেন আর তাঁদের ইস্তফা দিতে বলেন। মন্ত্রীদের শীঘ্রই নিজের ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। সবার আগে ফোন জল সংসাধন মন্ত্রী রতনলাল কটারিয়ার কাছে গিয়েছিল। এরপর এক-এক করে ১১ জনকে ফোন করেন নাড্ডা।
এই মন্ত্রীদের বলা হয়েছিল ইস্তফা দিতে
ক্যাবিনেট বিস্তারের আগে মোদী সরকারের এক ডজন মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল। সেই মন্ত্রীরা হলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাবেড়কর, ডঃ হর্ষবর্ধন, রমেশ পোখরিয়াল, সন্তোষ গাঙ্গওয়ার, সদানন্দ গৌড়া, প্রতাপ সারঙ্গী, দেবশ্রী চৌধুরী, বাবুল সুপ্রিয়, সঞ্জয় ধোতরে, রাও সাহেব দানবে পাতিল আর রতনলাল কটারিয়া। এই মন্ত্রীদের ইস্তফা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে স্বীকার করে নেন। এর আগের দিনই সামাজিক ন্যায় মন্ত্রী থাবরচন্দ্র গেহলটকে কর্ণাটকের রাজ্যপাল বানানো হয়েছিল।