বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সঙ্গে তদন্তে জোর দিয়েছে সিবিআই (CBI)। গতকালই এই পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র ওরফে লালাকে ফের তলব করেছিল সিবিআই। জানা যাচ্ছে, আরও একাধিকবার তাঁকে তলব করা হতে পারে। তবে দীর্ঘ চার মাস বিনয় গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশকে ঢাল করে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিল সে। এও জানা যাচ্ছে তদন্তে অসহযোগীতা করছে বিনয়।
সিবিআই-র অনুমান ২০০০ কোটি টাকার লালার (Lala) ব্যবসার পিছনে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিকরাও এর পিছনে জড়িত বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মত গতকালই লালার পাশাপাশি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার প্রাক্তন এসপিও। তবে তিনি এখন রাজ্য সিআইডি-তে রয়েছেন। তদুপরি সিবিআই তরফে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে যে, তিনি কি জানতেন কয়লা পাচার কাণ্ড সন্মন্ধে আর জানলে কি বা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এছাড়াও ইতিমধ্যেই লালা-ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে জেরা করেছে সিবিআই।
সেই মত বাঁকুড়ার আইসি অশোক মিশ্রকে (Ashok Mishra) দিল্লিতে তলব করে ইডি। শনিবার সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে এই প্রথম কোনও পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল ইডি। জানা যাচ্ছে এই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালার আত্মীয় এই আশোক মিশ্র। আজ অর্থাৎ রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। এর পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থার অনুমান বাঁকুড়ার এই আইসিকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত এর আগেও একাধিকবার তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই। সেই জেরা থেকে লালার বিষয়ে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছিল গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁর সাথে লালার সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। সেই মত তাঁকে দিল্লিতে তলব করে দীর্ঘ জেরার পর অবশেষে রাত ১১ টা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। উল্লেখ্য কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে দিল্লি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে (Bikash Mishra)।