তাজ্জব কাণ্ড! জেলবন্দি অনুব্রতর কাছে ‘তালা’, বন্ধ বীরভূমের আস্ত স্কুল, ঘোর বিপাকে পড়ুয়ারা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বর্তমানে কেষ্টর ঠিকানা দিল্লির তিহাড়। তবে রাজ্য ছেড়ে গেলেও বঙ্গের বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা এই দুঁদে নেতার। সব কিছুতেই যেন জড়িয়ে যাচ্ছে তার নাম। আর এবার অনুব্রত গড় বীরভূমের (Birbhum) একটি স্কুলে (School) তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরোক্ষভাবে কাঠগড়ায় তোলা হল কেষ্টকে।

বোলপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। সেই জায়গারই বাসিন্দা গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। অভিযোগ সেখানের আশন্তপল্লি এলাকার একটি নার্সারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার পরিবর্তে গড়া হবে কমিউনিটি হল। ১৯৮৪ সাল থেকে পথ চলা এই স্কুলে বর্তমানে ঝুলছে তালা। সেই তালা ঝুলিয়েছে স্থানীয় ক্লাব। অভিযোগ এমনটাই।

অন্যদিকে, গোটা এই ঘটনার নেপথ্যের চরিত্র নাকি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগে সরব স্কুলের বর্তমান পরিচালক লক্ষ্ণণবাবু। এরপর তিনি অনুব্রত মণ্ডলের দ্বারস্থ হলে সেই সময় হলে জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তবে পরে অনুব্রত মণ্ডল আর কোনও সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ লক্ষ্ণণ দের।

anubrata jail

লক্ষ্ণণ বলেন, “অক্টোবর মাসে যারা তালা দিয়েছিল তাদের কাছে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে গিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, ওই স্কুলের তালা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে।” প্রসঙ্গত, স্কুলটি তৈরী করা হয়েছে সরকারি খাস জমির উপর। যদিও স্কুলের ট্রাস্টের নামে ওই জায়গা দলিল রয়েছে। ১৯৮৪ সালে স্কুলটি শুরু করেন লক্ষ্ণণবাবুর দিদি মামনি দে।

সরকারি জমির ওপর হলেও স্কুল চালানোর জন্য পুরসভাকে ট্যাক্স দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন লক্ষ্ণণবাবু। স্কুল বন্ধ থাকায় ওই স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়া সমস্যায় রয়েছে। তাই অবিলম্বে সেটি খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্কুলের পরিচালক। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যারাও তালা ঝোলানোর কথা স্বীকার করে নেন ঠিকই তবে পাল্টা আঙ্গুল তোলেন লক্ষ্ণণবাবুর ওপর।

তাদের দাবি, লক্ষণের দিদি মামনির মৃত্যুর পর খাস জমির ওই জায়গা বিক্রি করে দিতে চাইছেন। তাই তাতে তালা দেওয়া হয়েছে। গোটা এই ঘটনায় বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, ” এই নিয়ে আমাদের কাছে কোনদিন লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। মৌখিকভাবেও কেউ জানায়নি। তবে বিষয়টা যখন শুনলাম অবশ্যই খোঁজ নেব এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর