বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার স্কুলে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো বাংলায়। মালদহের পর পুরুলিয়ায় স্কুলের শৌচাগারের দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক শিশু পড়ুয়ার। পুরুলিয়ার আদ্রা থানার শ্যামসুন্দরপুর এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরা এই ঘটনার ফলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্কুলের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, মৃত পড়ুয়ার নাম মণীন্দ্র চিত্রকর। তার বয়স ৫ বছর। মণীন্দ্র পুরুলিয়ার আদ্রা থানার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে নিয়মিত শ্যামসুন্দরপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশুনার জন্য যেত। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও সে পৌঁছায় স্কুলে। জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরু হওয়ার আগে মণীন্দ্র কিছু বন্ধুর সাথে স্কুল চত্বরে খেলা করছিল। এমন সময় সে খেলতে খেলতে শৌচাগারের দেওয়াল বেয়ে ওঠার চেষ্টা করে। তারপর সেই পাঁচিল ভেঙে পড়ে।
গুরুতর ভাবে আহত হওয়া মণীন্দ্রকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছাত্রের মৃত্যুর পর স্কুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য অভিভাবকরা। স্থানীয় বিডিও রবিশংকর গুপ্তা এই ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছান ঘটনাস্থলে। তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। ছাত্রের মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মণীন্দ্র চিত্রকরের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।
উল্লেখ্য, মালদহে গতকাল ঠিক এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। শৌচাগারের ছাদ ভেঙে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় মোথাবাড়ি এলাকার একটি স্কুলে। ছাত্রের মৃত্যুর পর অভিভাবকরা স্কুলে ভাঙচুর চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৫ জনকে এখনো পর্যন্ত আটক করা হয়েছে।