বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের (Loksabha Election) বাংলায় ফের চলে গেল প্রাণ। শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপির মহিলা কর্মীকে (BJP) কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের হামলার জেরে জখম হয়েছে কয়েকজন বিজেপি কর্মীও। বুধবার রাতে সোনাচূড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত গোটা এলাকা।
কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটপ্রচার শেষে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন কিছু বিজেপির কর্মী সমর্থক। সেই সময়ই তাদের ওপর হামলা চালায় ‘তৃণমূলী’ দুষ্কৃতীরা। চলে বাইক বাহিনীর তাণ্ডব। ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয় শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
সেখানেই উপস্থিত রথিবালা আড়ি নামে বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। মাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁর পুত্র সঞ্জয় আড়িও। এরপরই গ্রামবাসীরা ছুটে এলে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন।
চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন স্থানীয়রা। রথিবালা-সহ আহতদের তড়িঘড়ি নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রথিবালাকে দেখে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রথিবালার পুত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বাকি আহতদের নন্দীগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ভোটের মাঝে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: অবশেষে জয় সরকারি কর্মীদের, এবার বিরাট রায় দিল হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, গতকালই নন্দীগ্রামে সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সভার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের ওপর এভাবে হামলার ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি। হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ওদিকে ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপির অর্ন্তদ্বন্দ্বের কারণেই এমনটা হয়েছে।