বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে টানাপড়েন। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে আদালত অবধি। এরই মধ্যে দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় ৬ বছর! এই সময়কালে মামলাকারীদের বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। সেই অঙ্কটা কত? সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই সেই তথ্য। আর তা নিয়েই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হকের ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে ৬ বছর ধরে আইনি লড়াই!
জানা যাচ্ছে, ন্যায্য মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তামিলনাড়ুর সরকারি বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে একের পর এক শুনানি হচ্ছে। তবে এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। ডিএ নিয়ে এই টানাপড়েন কবে শেষ হবে সেটাও এখনও অজানা। এদিকে এই মামলার পিছনে ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে বিপুল টাকা।
নিয়ম বলছে, সরকার যখনই বর্তমান কর্মচারীদের জন্য ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি করবে, পরিবহণ কর্পোরেশনকে তখনই পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা সংশোধন করতে হবে। পেনশনভোগীদের দাবি, বর্তমানে তাঁদের মূল বেতন থেকে ৫৩% হারে ডিএ প্রদান করা উচিত। তবে ২০১৬ সাল থেকে মাত্র ৫% হারে মহার্ঘ ভাতা মিলছে। সেই সঙ্গেই যারা সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার আগে অবসর গ্রহণ করেছেন, তাঁদের ২৩৯% হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া উচিত, তবে সেটা ১১৯% -তেই আটকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পিওর ‘ফ্যামিলিম্যান’! ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক কেমন ছিলেন মনমোহন সিং? বাংলা হান্টকে জানালেন ভাগ্নে
রিপোর্ট বলছে, ন্যায্য ডিএ-র দাবিতে প্রায় ৯৪,০০০ TNSTC কর্মী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছেন। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে মাদ্রাস হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এর জন্য মামলাকারীদের প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ খরচ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কর্মীদের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে আদালত। রাজ্যের উচ্চ আদালত এবং দেশের শীর্ষ আদালত, উভয়েই ডিএ (Dearness Allowance) সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে আপিলের পর আপিল করা হচ্ছে। এই বিষয়ে কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, মামলার চূড়ান্ত রায় যাতে বিলম্বিত হয়, সেই জন্যই সরকারের তরফ থেকে এমনটা করা হচ্ছে।
ডিএ নিয়ে চলতে থাকা এই আইনি লড়াই প্রসঙ্গে Pokkuvarathu Kazhaga Oyvu Petra Azhuvalar Sangam সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি বলেন, ‘হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার জন্য এখনও অবধি পেনশনভোগী, চালক ও কন্ডাক্টরদের থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য আমাদের ১৫ লক্ষ টাকা অবধি খরচ করতে হয়। শুনানির জন্য শুধু আইনজীবীর ফি ১২.৫ লক্ষ টাকা। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য সরকার ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে, সেরা আইনজীবীদের নিয়োগ করে। এই লড়াইয়ে আমরা ক্লান্ত’।