বিগত কিছু সময়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাজনীতি ও সব্জি বাজার উথালপাতাল হয়ে উঠেছে। পেঁয়াজ এমন একটা সবজির মধ্যে পড়ে যা ভারতের প্রত্যেক প্রান্তে প্রায় প্রত্যেক রান্নার ক্ষেত্রে ব্যাবহার হয়। তাই পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাঘরে রান্না কল্পনা করা খুবই কঠিন। এমত অবস্থায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাজনীতি হওয়া বা সরকারের উপর প্রশ্নঃ উঠা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। মোদী সরকার পেঁয়াজের বৃদ্ধি পাওয়া মুলকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। কেন্দ্র সরকার তাৎক্ষণিক প্রভাব প্রয়োগ করে পেঁয়াজের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়ে দিয়েছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক তথ্য প্রদান করে বলেছে যে পেঁয়াজ সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। পেঁয়াজ প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। জনগণকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। শুক্রবার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন যে শনিবার থেকে নগরের মোবাইল ভ্যান ও রেশন শপের মাধ্যমে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৩.৯৯ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। যদিও কেজরিওয়াল তার নির্বাচনের প্রচারের দিকে লক্ষ রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি বিরোধী পক্ষের। তবে যে পরিপ্রেক্ষিতেই হোক, মানুষের সস্থি পাওয়াটাই মূল বিষয়।
এর আগে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আসার খবর আমরা পাঠকদের জানিয়েছিলাম। খবর পাওয়া গেছে যে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে আফগান ব্যবসায়ীরা এখানকার বাজারগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আগ্রহী। যদি পেঁয়াজের দাম এখানে প্রতি কেজি ৩০ টাকা অবধি থাকে তবে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আসতে থাকবে। ব্যবসায়িক সূত্র জানিয়েছে যে আফগানি পেঁয়াজ বর্তমানে অমৃতসর ও লুধিয়ানাতে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, পেঁয়াজের ফসলের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা এবং নতুন ফসলের প্রস্তুতিতে দেরি হওয়ার কারণে মহারাষ্ট্র, দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য, সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম তীব্র বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে কালো বিপণন ও পেঁয়াজ সংগ্রহের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উচ্চারণ করেছেন। তিনি জানান যে সরকার স্টক সীমাবদ্ধতা অভিযোগ বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে। সরকার পেঁয়াজ এর মূল্য বৃদ্ধি আটকাতে যে সিধান্ত নিয়েছে তা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা আগামী দিনেই বোঝা যাবে।