বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ‘না’ বাংলাদেশের। আর তার জেরেই এবার বড়সড় খেসারত দিচ্ছে হচ্ছে সেদেশের নাগরিকদের। কার্যতই প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে অতি প্রয়োজনীয় এই রান্নার সামগ্রীর দাম। কৃষিমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের জেরে এবার মাথায় হাত বাংলাদেশবাসীর।
সাম্প্রতিক কালে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেদেশের কৃষিমন্ত্রক। আর তার পর থেকেই অগ্নিমূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পেঁয়াজ। ফলে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা অবধিও দাম বেড়েছে কোথাও কোথাও। মার্চ মাস নাগাদই একটি বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশী কৃষি মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা হয় যে বাংলাদেশী কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হবে। সেই মতন গত ৬ মে থেকে জারি হয় এই নয়া নিয়ম।
কিন্তু এই নিয়মেরই এবার ফায়দা তুলতে শুরু করেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এই বছর যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়েছে বাংলাদেশে। মজুত রয়েছে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজও। ফলে নয়া নিয়ম চালু হওয়ার এক।সপ্তাহের মাথাতেই এহেন সংকট মোটেই স্বাভাবিক নয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভ করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেকি চাহিদা তৈরি করছে বলেই উঠছে অভিযোগ। যার জেরেই এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০টাকা।
এই প্রসঙ্গে যশোর স্থলসীমান্ত বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন৷ জানিয়েছেন, ‘গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়। সে সময় রমজানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আর অনুমোদন না মেলায় আমদানি বন্ধ রয়েছে।’ বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটে মেয়াদ চলতি মাসের ৫ মে পর্যন্ত ছিল। এরপর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি চালু হলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা রয়েছে।’ তবে কবে থেকে আবার চালু হবে আমদানি তা মোটেই বলতে পারেননি তাঁরা। ফলে এখনই যে মিটছে না বাংলাদেশবাসীর হেঁসেল জ্বালা তা বলাই বাহুল্য।