বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হুহু করে বাড়ছে সবজির দাম। তালিকায় পেঁয়াজও (Onion)। শুধু কলকাতা (Kolkata) নয়, গোটা রাজ্য (West Bengal) জুড়েই আরও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। আশঙ্কা তেমনটাই। সূত্রের খবর, ভিন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় আরও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal) গঠিত টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সপ্তাহ খানেক আগে কলকাতার পাইকারি বাজারে অন্য রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৮-৪৯ টাকা প্রতি কেজি। আর শুক্রবার যে পেঁয়াজ পৌঁছেছে তার দাম বেড়ে হয়েছে ৫৭ টাকা প্রতি কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে অনেকটাই।
সূত্রের খবর, কলকাতার বাজারে যে পেঁয়াজ আসছে তা মূলত যোগান দিচ্ছে মহারাষ্ট্র। আর সে রাজ্যেও পেঁয়াজ বর্তমানে ৫৪-৫৫ টাকা প্রতি কেজি বিকচ্ছে। এদিকে আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। এদিকে চাহিদা ও যোগানের তারতম্য রয়েছে।
রাজ্যের টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, শুধু এ রাজ্যে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও পেঁয়াজের দাম উর্দ্ধমুখী। এদিকে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে। শহরের কোথাও কোথাও ৬৫-৭০ টাকা প্রতি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। চলতি সপ্তাহে আরও বেড়েছে দাম। যদিও আম জনতাকে স্বস্তি দিতে সরকারি সুফল বাংলার স্টলে কেজি প্রতি ৪৪ এবং ৫০ টাকায় বিকচ্ছে পেঁয়াজ।
তবে যেভাবে ক্রমশ পেঁয়াজের দাম বাড়ছে সেক্ষেত্রে এই দর খুচরো বাজারে ধরে রাখা কতদিন সম্ভব সেই আশঙ্কাও রয়েছে। রাজ্য সরকারকে সেক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতে হতে পারে। উল্লেখ্য, রাজ্যে যে পরিমাণ উৎপাদিত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে চাহিদার তুলনায় তার পরিমাণও খুব কম। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে বর্তমানে বছরে প্রায় ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বেকার হয়ে গেল…’! অবসরের আগে বিস্ফোরক প্রধান বিচারপতি! কাদের উদ্দেশে একথা বললেন?
সম্প্রতি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ভিন রাজ্যের ওপর নির্ভরতা কম করতে জেলায় জেলায় উৎপাদন এবং সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। সূত্রের খবর, রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলার ৭ হাজার বিঘা জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে আগামী খরিফ মরশুম থেকে শুরু হয়ে যাবে পেঁয়াজের চাষ। আর তা সংরক্ষণ করতে তৈরী হবে গোলা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপও করেছে রাজ্য সরকার।