বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাপরে বাপ, পেঁয়াজের ঝাঁঝে তো আমজনতার চোখ দিয়ে জল পড়ছেই। যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে তো পেঁয়াজ হাতে ধরা মানেই যেন বড় বিপদ। তাই তো পেঁয়াজ নিয়ে যেন এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। হেলমেট পড়লে পেঁয়াজ ফ্রি, মোবাইল ফোন কিনলে পেঁয়াজ ফ্রি। যেন মনে হচ্ছে ধরি মাছ না ছুঁই পান। খরিদ্দার টানতে এবং জন,সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যে পেঁয়াজকেই হাতিয়ার করতে হচ্ছে সকলকে।
তবে এবার বোধ হয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময় এসেছে। কারণ দেশের বাজারে এবার পেঁয়াজের দাম বোধ হয় নাগালের মধ্যেআসবে। কারণ ইতিমধ্যেই দিল্লিবাসী পেঁয়াজ কিনতে শুরু করেছে কম দামে। কারণ, সোমবার আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে দিল্লীতে। তাই এবার আর দেড়শো থেকে ২০০ টাকা দরে নয় মাত্র পঞ্চান্ন টাকা প্রতি বস্তা হিসেবে পেঁয়াজ কেনা যাবে। তুরস্ক ও ইজিপ্ট থেকে পেঁয়াজ আনার কথা অনেক আগেই জানিয়েছিল মোদী সরকার।
তবে এবার সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই ভরল আফগান পেঁয়াজে। তাই এবার মাত্র পঞ্চাশ থেকে ৭৫ টাকা প্রতি কেজিতে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে। অর্থাত্ এতদিন অবধি যে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস হতে হয়েছে এবার সেই পেঁয়াজ দ্বিগুণের বেশি দাম কমে যাবে। শুধু দিল্লীর বাজার নয় পাঞ্জাবেও প্রচুর পেঁয়াজ ঢুকেছে আফগানিস্তান থেকে। তাই মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ অতি সস্তায় না হলেও সস্তায় পাওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য বিভিন্ন জেলায় জেলায় তদারকি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছিল।
তাই আজ থেকেই রাজ্য সরকারের ভর্তুকি নিয়ে পেঁয়াজের দাম পড়বে প্রতি কেজি 59 টাকা। কারণ রাজ্য সরকারের তরফে পাইকারি বাজার থেকে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ কিনে 935 টি কাউন্টারে পাঠানো হবে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, ডিরেক্টর অফ রেশনিং এবং খাদ্য দফতরের সহসচিব সহ খাদ্য দফতরের ও কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকরা একটি প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার রেশন দোকানে পেঁয়াজ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।