বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনলাইন গেমিং-এর মাধ্যমে ধর্মান্তকরণের চেষ্টার বড় ধরনের র্যাকেট ফাঁস করল উত্তরপ্রদেশ পুলিস (Uttar Pradesh Police)। ইতিমধ্যে র্যাকেটের এক মাথাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত শাহনওয়াজের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে যোগি পুলিস। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত স্বীকার করেছে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই এই অ্যাপের মাধ্যমেই ধর্মান্তরিত করা ৪০০ জনকে।
জানা গিয়েছে, অনলাইনে একটি গেমিং অ্যাপ রয়েছে। যার নাম ‘ফর্টনাইট’। এই অ্যাপটির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করা হত। কেউ খেলায় হারছে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোরান পাঠ করতে বলা হত। এরপর সে খেলায় জিতে গেলে, স্বাভাবিকভাবে ইসলাম ধর্মের প্রতি আলাদা অনুভূতি জন্মাত। টার্গেট করা ওই কিশোর বা কিশোরীর সঙ্গে পরে যোগাযোগ করত র্যাকেটের সদস্যরা। পরামর্শ দেওয়া হত ধর্মান্তকরণের।
গাজিয়াবাদ পুলিসের ডেপুটি কমিশনার নিপুন আগরওয়াল জানান, র্যাকেটের মাথা শাহনওয়াজ খান মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাকে ধরতে পুলিস অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নিপুন আরও জানিয়েছেন যে শাহনওয়াজের ডিজিটাল নাম বাড্ডো।
তার কাজ ছিল মূলত অনলাইন গেমারদের মধ্যে অল্প বয়সীদের খুঁজে বার করা। ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য জাকির নায়েক বা তারিক জামিলের মতো কট্টরপন্থী প্রচারকদের ভিডিও পাঠাত শাহনওয়াজ।
সম্প্রতি চারজন কিশোর ধর্মান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজিয়াবাদ পুলিসের ডিসিপি। এর মধ্যে দুই জন গাজিয়াবাদ এবং একজন করে ফরিদাবাদ এবং চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা। গাজিয়াবাদের যে হিন্দু কিশোর ধর্মান্তরিত হয়েছে, সে পাকিস্তান ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল দ্য ইয়ুথ ক্লাব দেখত। ওই ইউটিউব চ্যানেলটিতে ইসলাম সম্পর্কে উস্কানিমূলক ভিডিয়ো রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ কর্তা। উস্কানিমূলক এই ভিডিয়ো দেখার পরেই ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল গাজিয়াবাদের ওই কিশোর।
ঘটনার আরও তদন্তের জন্য গাজিয়াবাদ পুলিসের দু’টি দল চণ্ডীগড় এবং ফরিদাবাদে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিসের ওই আধিকারিক। মূল চক্রী শাহনওয়াজকে ধরতে একটি দলকে মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। অভিযুক্তকে খুব শীগ্রই গ্রেফতার করার আশ্বাস দেন তিনি। গত ২৩ নভেম্বর গাজিয়াবাদের জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে বলে জানান ডিসিপি নিপুন আগরওয়াল।
শুধু ভারতে নয়, র্যাকেটটির আন্তর্জাতিক যোগও প্রকাশ্যে এনেছে যোগি পুলিস। ইউরোপের অনেক শিশু এই অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আর যেক্ষেত্রে খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী শিশুদের ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হত।