বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) নামটাই ছিল বাঙালির হৃদয়ে আবেগের আরেক নাম। ব্যর্থ প্রেম হোক কিংবা নতুন উদ্যমতার গান সব ক্ষেত্রেই রূপঙ্কর বাগচী ছিলেন ওয়ান এন্ড ওনলি। নিজের সোলো অ্যালবাম থেকে চলচ্চিত্রে কন্ঠ প্রধান সব ক্ষেত্রেই নিজের দাপট দেখিয়ে বেরিয়েছেন তিনি।
জাতিস্মর সিনেমায় গান গেয়ে জিতেও নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। কিন্তু সেই রূপঙ্কর বাগচীর কারিশমা আজ যেন ফিকে। জনপ্রিয়তা লাভের আশায় প্রয়াত গায়ক কেকে-কে নিয়ে বিদ্রূপ মন্তব্য আহত করেছে তার শ্রোতাদের। শিল্পী মহল থেকে শ্রোতা মহল সব জায়গায় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন রূপঙ্কর। এক সময় এই রূপঙ্কর আক্ষেপ করে বলেছিলেন যে, ইউটিউবের মাধ্যমে এই সময়ের নতুন নতুন গায়ক – গায়িকারা পরিচিতি লাভ করছেন সেই ইউটিউব থেকে তারা আয় মাত্র আড়াই হাজার টাকা।
গত বছর নভেম্বর মাসে রূপঙ্কর একটি সাক্ষাৎকারে তার ইউটিউব থেকে আয়ের একটি হিসাব দিয়েছিলেন। সেই খোলামেলা সাক্ষাৎকারে রূপঙ্কর জানিয়েছেন, তার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য তিনি প্রায় ৫৪ টা কনটেন্ট বানিয়েছেন। সেজন্য তিনি পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি খরচা করেন। কিন্তু সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ মাত্র আড়াই হাজার টাকা।
সেদিনের সাক্ষাৎকারে রূপঙ্করের কথায় ঝরে পড়ছিল অভিমান। তার ধারণা এখন আর হয়তো কেউ তার গান শোনে না। অভিমানের সুরে রূপঙ্কর জানিয়েছিলেন, “২০১৯ সালে “জাগো উমা” ছিল তার শেষ হিট গান। এরপর শ্রোতারা এখনও তাকে তার পুরনো গানেই মনে রেখেছেন।” এর কারণ হিসেবে রূপঙ্কর বলেছিলেন, তার পার্টিতে যাওয়ার অভ্যাস নেই। কাজের পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তাই হয়তো তিনি ঠিকমতো কাজ পান না। এর পাশাপাশি তার ধারণা জনতা হয়তো তাকে আর মনে রাখবে না। কিন্তু মজার কথা এখনো জনতা থাকে মনে রেখেছে, কিন্তু গায়ক হিসেবে কম এক বিদ্বেষমূলক ব্যক্তি হিসেবে হয়ত বেশি!