বৈশাখী ছাড়া আর কাউকেই যেন জানানো না হয় তাঁর মেডিকেল আপডেট! সুপারকে জানালেন শোভন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সমানভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন, প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন যেমন ছুটে গিয়েছে নিজাম প্যালেস থেকে হাসপাতালে। অন্যজনও তেমনি সর্বক্ষণ শোভনের পাশে থেকেছেন। এমনকি হাসপাতালে শোভনের কাছে থাকার জন্য হাসপাতাল সুপারকে চিঠিও লিখেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার হাসপাতাল সুপারকে মেইল করে পরপর দুটি চিঠি পাঠানো হলো শোভন চট্টোপাধ্যায় তরফে। হাসপাতাল সুপারের কাছে ওই মেইল পাঠান শোভনের আইনজীবী প্রীতমপ্রিয় রায়।

প্রথম চিঠিতে জানানো হয়েছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকেই যেন শোভনের চিকিৎসার ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর না দেওয়া হয়। চিঠিতে আরো লেখা হয়েছে, শোভনের শরীর ভালো নেই। তার উপর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়া রত্না চট্টোপাধ্যায়কে যেন দেখা করতে না দেওয়া হয়। এতে শোভনের উদ্বেগ বাড়তে পারে। অন্যদিকে ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ের সুহানির ক্ষেত্রেও অনুমতি ছাড়া না দেখা করার কথা বলা হয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, বাবা পুলিশের নজরদারিতে আছে তা দেখলে ছেলে ও মেয়ের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে শোভনের। এই চিঠি প্রসঙ্গে আইনজীবী প্রীতম প্রিয় রায় অবশ্য বলেন, কারও কিছু জানার থাকলে সেটা আমার থেকে বা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই জানতে হবে।’’ এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সহ সকলের জন্যই এটি প্রযোজ্য।

অন্যদিকে দ্বিতীয় চিঠিতে বড় অভিযোগ করা হয়েছে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করার নাম করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেবিনে ঢোকার চেষ্টা করেন সঞ্জয় রাউত এবং অভিজিৎ মৈত্র ওরফে পিকলু। সে সময় তাদের সঙ্গে কয়েক জন দুষ্কৃতী ছিল বলেও অভিযোগ। জানানো হয়েছে এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তাদের আটকান এবং পিকলুর সাথে এ বিষয়ে তাদের বচসাও হয়। এই দল আসলে রত্নার নির্দেশেই এসেছিল বলে অভিযোগ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

এই চিঠির পর ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়াও হাসপাতালে এসে শোভনের নিরাপত্তা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সকালে নারদ কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে জনপ্রতিনিধি হয়েও প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার। ঐদিন রাতেই জামিন খারিজ করে জেলে হেফাজতে নেওয়া হয় তাদের। কিন্তু জেলে বাজাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছেন শোভন। হাসপাতালে ভর্তি হবার পরেই তাকে দেখতেও এসেছিলেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং ছেলে সপ্তর্ষি। ব্যক্তিগত সমস্যা যাই হোক না কেন এই অবস্থায় স্বামীর পাশে আছেন বলেই জানিয়েছিলেন রত্না। এখন তাদেরই দেখা করার অনুমতি দিলেন না স্বয়ং শোভন চট্টোপাধ্যায়।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর