বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী দিনে আপনার ঘরের বিদ্যুৎ (Electricity) বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ ভারতে (India) মাত্র ৪ দিনের কয়লা (Coal) অবশিষ্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রালয় অনুযায়ী, তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে কয়লার স্টক খুব কম রয়েছে। বলে দিই, দেশের ৭০ শতাংশ বিদ্যুতের উৎপাদন কয়লা দ্বারা করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৩৫টি থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে ৭২টি প্ল্যান্টের কাছে ৩ দিনের কম কয়লার স্টক রয়েছে। আর ৫০টি প্ল্যান্টে ৪ থেকে ১০ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রালয় দ্বারা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনার মধ্যে দফতরের কাজ থেকে শুরু করে অন্য কাজ মানুষ ঘরে বসেই করেছেন, আর এই কারণে ব্যাপক বিদ্যুতের ব্যবহারও হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যের ফলে আগের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রালয়ের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ হাজার ৬৬০ কোটি ইউনিট প্রতি মাস ছিল। এই চাহিদা ২০২১-এ বেড়ে ১২ হাজার ৪২০ কোটি ইউনিট প্রতি মাস হয়ে যায়।
অন্যদিকে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অতি বৃষ্টির কারণে খনিতে জল ঢুকে যাওয়ার কারণে কয়লা খনন সম্ভব হয়নি। ভারতে জনসংখ্যার দিক থেকে সবথেকে রাজ্য উত্তর প্রদেশ সহ গোটা দেশে কয়লার সংকট দেখা দিয়েছে। যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লার স্টক কমে গিয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানান, এই উৎসবের মরশুমে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়ে যাবে, ফলে আরও বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
২০২১-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কয়লার ব্যবহার ২০১৯-এর মোকাবিলায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের কাছে বিশাল কয়লার ভাণ্ডার থাকার পরেও কয়লার ব্যবহারের কারণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও ভারত কয়লার আমদানি ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া আর আমেরিকার মতো দেশগুলোর থেকে করে। সবথেকে বড় বিষয় হল, এই দেশগুলোতে কয়লার দাম তিনগুন বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বলে দিই, চিনেও কয়লার আমদানি ব্যপক ভাবে কমে গিয়েছে। আর এই কারণে ওই দেশের সরকার দেশের কয়েকটি প্রান্তের মানুষকে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে বলেছে। এছাড়াও চিনের বড়বড় কারখানাগুলোতে কাজ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিনের এই সংকটের ফলে ওই দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে আর চিনের সঙ্গে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে এর খারাপ প্রভাব পড়বে।