বাংলা হান্ট ডেস্ক : থামার নামই নেই যুদ্ধের। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ (Russi – Ukraine War) করে। তারপর থেকেই বিরাম নেই যুদ্ধের। কবে শান্ত হবে তা কেউ জানে না। এই পরিস্থিতিতে বড় মন্তব্য করল আমেরিকা। হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিল, এই যুদ্ধ থামানোর যে কোনও প্রচেষ্টাকেই তারা স্বাগত জানাবে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কির্বির কাছে জানতে চাওয়া হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (PM Modi) পুতিনকে (Vladimir Putin) থামাতে বলার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে গিয়েছি কিনা। এপ্রসঙ্গে কির্বি স্পষ্ট জানান, ‘আমি মনে করি মোদি ওঁকে বোঝাতে পারবেন।’
আর ১৩ দিন পরই রাশিয়ার ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণের ১ বছর সম্পূর্ণ হবে। এই দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত কিয়েভ-সহ গোটা ইউক্রেন। এরই সঙ্গে এই যুদ্ধের প্রভাব গোটা বিশ্বেই দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে কির্বি জানান, ‘আমি মনে করি এখনও সময় রয়েছে পুতিনকে যুদ্ধ থেকে বিরত করার। প্রধানমন্ত্রী মোদি ওঁকে বোঝাতেই পারেন। মোদি কথা বলতে বা অন্য যে কোনও ধরনের চেষ্টা করতে চাইলে আমরা তা হাসি মুখে মেনে নেব। ইউক্রেনে হামলা রুখতে যে কোনও প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাব। আমরা চাই, যুদ্ধ আজই থেমে যাক।’ এরই সঙ্গে ইউক্রেনের মানুষের এই অবস্থার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনই একমাত্র দায়ী বলেও তোপ দাগেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কির্বি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকেই সরাসরি দায়ী করেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘ভ্লাদিমির পুতিনই একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য সরাসরি দায়ি।’ জন কিরবি জোর দিয়েছিলেন যে চলমান এই সংঘাত অবশ্যই শেষ হওয়া উচিত।
তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য একাধিকবার পুতিনকে আবেদন করেছেন, কিন্তু পুতিন তাতে পাত্তাও দেননি।’ আমেরিকা মনে করে এই যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হওয়া উচিত।
২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুশ সেনা। তারপর থেকে গত কয়েক মাস ধরেই চলছে যুদ্ধ। দেখতে দেখতে প্রায় বছর ঘুরতে চললেও এখনও নিষ্পত্তি হয়নি লড়াইয়ের। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, রাশিয়া হয়তো অল্প সময়ের মধ্যেই ইউক্রেন দখল করে ফেলবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।