মুখ ফিরিয়েছিল সবাই, বলিউডে ‘একঘরে’ মিঠুনের জন্য এগিয়ে আসেন এই নায়িকা! ইনি কিন্তু শ্রীদেবী নন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একজন ‘বহিরাগত’ হয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হিরো হয়ে ওঠা কতটা কঠিন তা অক্ষরে অক্ষরে টের পাওয়া যায় মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) স্ট্রাগল কাহিনি শুনলে। কলকাতার এক মধ্যবিত্ত বাঙালি ছেলে কিনা হবে বম্বের হিরো! ‘স্পর্ধা’ দেখে মুখ বেঁকিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু এই স্পর্ধায় ভর করেই গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের আঙুলে নাচিয়েছিলেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। কিন্তু পথটা বড় সহজ ছিল না। প্রতি পদে হোঁচট খেতে হয়েছে অভিনেতাকে।

জাতীয় পুরস্কারের পরেও কঠিন সময় কাটান মিঠুন (Mithun Chakraborty)

প্রথম ছবিতেই হিট পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার জেতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই হাতে গোনা অভিনেতাদের তালিকায় একজন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। নিজের প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। অদ্ভূত ভাবে তারপরেও চরম ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। একটা লম্বা সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন : এক হাসিতেই সব শেষ! বিশ্বের দশম সবথেকে সুপুরুষ শাহরুখ, ৫৮-তেও কীভাবে সম্ভব?

কেউ কাজ করতে রাজি হননি

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। অভিনেতা বলেন, ওই সময়টা কঠিন ছিল। কিন্তু হার মানতে নারাজ ছিলেন তিনি। ব্যর্থতা আসলে আগে লড়বেন, এমন মনোভাব নিয়েই চলতেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। সমস্ত অভিনেত্রীদের তাঁর সঙ্গে কাজ করতে বারণ করে দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী এগিয়ে এসেছিলেন সে সময়।

আরো পড়ুন : সেনা পরিবারের মেয়ে, প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রেমিকাই হবু বচ্চন বধূ! কে এই নিমরত?

রাজি হন শুধু জিনাত আমান

তিনি জিনাত আমান। স্মৃতিচারণ করে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, জিনাত তাঁকে খুবই সাহায্য করেছিলেন। সে সময় ব্রিজ সাধনার সঙ্গে একটি ছবিতে কাজ করছিলেন তিনি। পরিচালক ঠিক করেছিলেন, মিঠুনকেই (Mithun Chakraborty) বানাবেন নিজের হিরো। সেই মতো তিনি যান জিনাতের কাছে। গিয়ে জানান, এমন একটি ছেলে রয়েছে, যাঁকে তিনি নিজের নায়ক হিসেবে দেখেছেন।

Mithun Chakraborty

জিনাতও মুগ্ধ ছিলেন মিঠুনে। বলেছিলেন, ছেলেটি যথেষ্ট সুপুরুষ। ভালো নাচও করে। তিনি কাজ করবেন তাঁর সঙ্গে। ব্যস, জিনাতই ভেঙেছিলেন বাধার শৃঙ্খল। বলিউডে কোণঠাসা মিঠুনের সঙ্গে কাজ করে তাঁর কেরিয়ারকে দিয়েছিলেন নয়া দিশা। ‘আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব জিনাত জি’র প্রতি’, স্মৃতি ভাগ করে আবেগঘন হয়ে পড়েন মিঠুন। এখন অবশ্য বদলেছে সময়, পরিস্থিতি। এত বছর পরে এসেও নিজের যোগ্যতা ফের প্রমাণ করেছেন মিঠুন। তাঁর হাতে উঠেছে সম্মানীয় দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। সম্পূর্ণ হয়েছে এক বৃত্ত।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর