বাংলা হান্ট ডেস্ক: নিত্যদিন নিত্য রকমের আবিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র প্রযুক্তির দিক থেকে আবিষ্কার নয়, চাষবাসে যাতেও অগ্রগতি হয় সেক্ষেত্রেও বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে এবার চাষের জন্য কীটনাশক প্রয়োগকে বাদ দিয়ে, স্প্রে করা হচ্ছে দেশি মদ (Alcohol)। হ্যাঁ শুনতে খানিক অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে। তাও আবার আলু চাষের জন্য। তবে এই দেশি মদের ব্যবহার কৃষকরা এমনি এমনি করছেন না, রয়েছে বিশেষ কারণ। ঠিক কি কারণে আলু গাছে দেশি মদের স্প্রে করা হচ্ছে জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
আলু গাছে কৃষকের দেশি মদের (Alcohol) ব্যবহার:
হামেশাই কৃষক ভাইয়েরা উন্নত মানের ফলনের জন্য বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন। কিন্তু এবার অভিনব পরীক্ষা করলেন তারা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুলন্দশহর জেলায় কিছু কৃষক দেশি মদ দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। ফসলের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য এই অভিনব পদ্ধতির উপর ভরসা রেখেছেন। জানা গিয়েছে তারা, কীটনাশকের পাশাপাশি চাষের ক্ষেত্রে দেশি মদ (Alcohol) স্প্রে করছেন। মূলত আলু গাছের জন্যই এই উপাদানটি ব্যবহার করেছেন। এতে শুধু আলুর ফলন ভালো হয় না পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ, জীবাণুর হাত থেকেও আলু গাছকে রক্ষা করে।
এই বিষয়ে কি বলছেন কৃষকরা: শিকারপুর তহশিলের বোহিচ গ্রামের কৃষকরা দেশি মদের (Alcohol) ব্যবহারের ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। তাদের মতে, এই বিশিষ্ট উপাদানটি ব্যবহার করার ফলে আলুর আকার বৃদ্ধি পায়। যদিও তারা সরাসরি মদ ব্যবহার করে না। কীটনাশকের মধ্যে সামান্য পরিমাণ অ্যালকোহল মিশিয়ে নিয়ে তারপরে আলু গাছের উপর স্প্রে করেন। জানা গিয়েছে প্রতি একর জমিতে প্রায় ২০০ মিলি মদের ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই
মদ ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক: অনেকেই ভাবতে পারেন, চাষের ক্ষেত্রে এমন মদ (Alcohol) ব্যবহার পরবর্তীতে মানব জীবনে ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু কৃষকদের মতে, এই উপাদানটি ব্যবহারে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় না। উল্টে, এই আলু খেলে শীতকালে রোগবালাইয়ের সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয় জানা গিয়েছে শীতকালে কুয়াশার হাত থেকে আলু গাছকে বাঁচাতে এই বিকল্প পথের উপর ভরসা রেখেছেন তারা।
বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত নয়: তবে কৃষকদের আলু চাষে দেশি মদের (Alcohol) ব্যবহারের উপর বৈজ্ঞানিকভাবে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। এটা পুরোটাই কৃষকরা নিজেদের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করছেন। এবং এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষতি হওয়ার ঘটনাও সামনে আসেনি। যার ফলে আশা করাই যেতে পারে এতে খুব একটা কারোর ক্ষতি হবে না।