বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর (Operation Sindoor) পর চর্চায় অন্যতম কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofia Quraishi)। ভারতের এই বীরকন্যাকে নিয়ে বর্তমানে কৌতূহল সর্বত্র। জানা গিয়েছে, বাহিনীর এই মহিলা অফিসার চার বছর আগে কলকাতাতে কর্মরত ছিলেন। এক সময় সোফিয়া কুরেশি বলেছিলেন, ‘জীবন একটাই আছে, সেটা দেশের নামে লিখে দিতে পারলে ভালো হয়।’
কর্নেল সোফিয়া কুরেশির জীবনের অজানা তথ্য | Colonel Sofia Quraishi
সোফিয়া কুরেশির ঠাকুরদা সেনায় ছিলেন। শুধু ঠাকুরদা নন, ভদোদরার বাসিন্দা সোফিয়ার বাবাও ছিলেন সেনাবাহিনীতে। সেনা পরিবারের মেয়ে সোফিয়ার প্রথমে অবশ্য সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না। বিজ্ঞানী হবেন বলে ভেবেছিলেন। পরে মেয়েদের আর্মিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ মিলতে তিনি নিজের পরিকল্পনা বদল করেন। যোগ দেন সেনাবাহিনীতে।
মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যাল থেকে জৈব রসায়নে স্নাতকোত্তর অর্থাৎ মাস্টার ডিগ্রি কমপ্লিট করেন সোফিয়া কুরেশি। এরপর কলেজে পড়ানো শুরু করেন তিনি। সেইসঙ্গে উচ্চশিক্ষা শেষ করে পিএইচডি করতে শুরু করেছিলেন সোফিয়া। ভালোই চলছিল পিএইচডি-র কাজও। তবে সেনাবাহিনীতে আসার টানে মাঝপথেই পিএইচডি ছেড়ে দেন।
ভিডিও দেখুন: সোমে দুর্যোগের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়, কতটা কমবে তাপমাত্রা? আবহাওয়ার খবর
ভারত সরকার কর্তৃক সেনাবাহিনীতে উচ্চপদে মহিলাদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করলে মাঝপথেই পিএইচডি ছেড়ে দেন সোফিয়া কুরেশি। যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। বহু সামরিক মহড়ার নেতৃত্ব প্রদান করেছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তাঁর নেতৃত্বদানের ক্ষমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বিপিন রাওয়াতও। নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তার অবদান গোটা ভারতবাসীর মনে দাগ কেটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: https://youtu.be/UEqTNFwrhgk?si=t4wsEmdcESxdtBtk
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোফিয়া কুরেশির গর্বিত পিতা বলেন, ‘আমরা আমাদের মেয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। পাকিস্তান ধ্বংস হওয়া উচিত। আমি, আমার বাবা, আমার দাদা টানা তিন প্রজন্ম ধরে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ।’