বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই প্রথমবার বাংলার বাজেট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (mamata banerjee)। অর্থমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের এই গুরু দায়িত্ব সামলালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আগে থাকতেই এই বাজেট বক্তৃতা বয়কট করেছিল বাম-কংগ্রেরা। আর বাজেট পেশ করতেই, উঠল সমালোচনার ঝড়। একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুটে আসতে লাগল বিরোধী শিবির থেকে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাজেটে ঘোষণা করেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কাজ চলবে প্রতি বছর, আদিবাসীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে, কলকাতায় একাধিক ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে, এমনকি জুন মাস অবধি বিনামূল্যে রেশন পাবেন বঙ্গবাসী, এছাড়াও বেশকিছু প্রকল্পের কথা। এসব শুনে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আক্রমণাত্মক প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলেন বিরোধীরা।
রাজ্যের অর্থনীতির দিকে আঙ্গুল তুলে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বাংলার অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে এইসব প্রকল্পের জন্য টাকা কোথা থেকে আসবে? আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তো মানুষকে নাজেহাল হতে হচ্ছে’।
বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘এখানে একজনের ইচ্ছাতেই রাজ্য চলে, সংবিধান এখানে অচল’। অন্যদিকে মুকুল রায় বলেন, যে মানুষের দায় ও দায়িত্ব থাকে, তাঁর ভবিষ্যতের চিন্তাও থাকে। আর যে জানে তাঁর আগামী দিনে দায়িত্বে নেই, সে তো যা খুশি তাই বলতে পারে’।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্ত্তীও। তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী কিছু অযথা প্রতিশ্রুতি দেবেন বলেই আমরা বাজেট বক্তৃতা বয়কট করেছিলাম। আগামী ৫ বছরের কথা বলে, সবই তো ভোট অন অ্যাকাউন্ট বললেন। উনি কি ৫ বছর থাকবে নাকি, উনি তো আর মাত্র ২-৩ মাস’।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পার্শ্ব শিক্ষকদের কথা মনে পড়ল। বিগত ১০ বছরে একবারও তাঁর নেতাজির কথা মনে পড়েনি। মোদীজির কথায় আপনার নেতাজির কথা মনে পড়ল? ১০ বছরে যা প্রতারণা করেছে, তা আরও বেশি করে করতে এমন বাজেট পেশ করেছে। রাজ্যটাকে পুরো ছারখার করে দিলেন’।